ফুটবল ইতিহাসে ব্যক্তিগত ৪৪টি ট্রফি জিতে সবার শীর্ষে মহাতারকা লিওনেল মেসি। এই পথে তিনি পেছনে ফেলেছেন তার দীর্ঘদিনের বার্সেলোনা সতীর্থ ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার দানি আলভেজকে। নিজের নতুন ঠিকানা ইন্টার মায়ামির হয়ে লিগস কাপের শিরোপা জিতে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন মেসি। একই সাথে টুর্নামেন্টে ১০ গোল করে পেয়েছেন সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার, হয়েছেন আসরের সেরা খেলোয়াড়।
পেপ গার্দিওলা, আর্সেন ওয়েঙ্গার, ইয়ুর্গেন ক্লপদের কাছে কাতার বিশ্বকাপের আগেই লিওনেল মেসি ছিলেন সর্বকালের সেরা। ভিন্ন মত যারা পোষণ করতেন, তাদের কাজ আরও কঠিন করে বিতর্কের স্ক্রিপ্টে যৌক্তিকতায় বড়সড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন মেসি এঁকে দিয়েছিলেন কাতার বিশ্বকাপে। অতুলনীয়, অমূল্য ও চির আরাধ্য বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি জয়ের পর বাকি ছিল না আর কিছুই। ক’দিন আগেই বলেছিলেন, ব্যালন ডি’অর জয় নিয়ে আর তিনি একদমই ভাবেন না। পিটার ড্রুরির ভাষায় যেন, ফুটবলকেই পূর্ণতা দান করেছেন মেসি।
তারপরও নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন মেসি, পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানের নতুন চ্যালেঞ্জও জয় করতে তিনি নিয়েছেন মাত্র ৭ ম্যাচ। তাতেই ইন্টার মায়ামি জয় করেছে ক্লাবের ইতিহাসে সর্বপ্রথম শিরোপা। আর মেসি পেলেন ক্যারিয়ারের ৪৪তম শিরোপার স্বাদ। এর মাধ্যমে ফুটবল ইতিহাসে এককভাবে শিরোপা জয়ে এবার সবাইকে ছাপিয়ে শীর্ষে এই মহানায়ক।
শৈশবের ক্লাব বার্সেলোনার হয়েই সর্বোচ্চ ৩৫টি ট্রফি ঘরে তুলেছেন এলএমটেন। ১০টি লা লিগা, ৭টি কোপা দেল রে, ৮টি স্প্যানিশ সুপার কাপ, ৪টি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ও সমান ৩টি করে উয়েফা সুপার কাপ এবং ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ট্রফি জেতেন মেসি। এছাড়া পিএসজিতে ৩টি , আর্জেন্টিনার হয়ে তিনি জয় করেছেন মোট ৫টি শিরোপা।
মায়ামির হয়ে শিরোপা জেতার পাশাপাশি ১০ গোল করে লিগস কাপের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার জিতেছেন মেসি। হয়েছেন আসরের সেরা খেলোয়াড়। প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির ভারসাম্যে মেসির ক্যারিয়ার এখন সর্বতোভাবেই পেয়েছে পূর্ণতা। ফুটবলীয় যাবতীয় চাওয়া-পাওয়ার ঊর্ধ্বে চলে গেছেন লিওনেল মেসি-এমনটা বলাও হয়তো অত্যুক্তি হবে না। তারপরও থেমে যাননি এই আর্জেন্টাইন মায়েস্ত্রো, চলছেন ঝড়ের গতিতে। ন্যাশভিলের হোম গ্রাউন্ড জিওডিস পার্কে মেসিকে দেখাই খুব সম্ভবত শেষ দেখা নয়। তার বাঁ পায়ে যে এখনও ধরা দিচ্ছে ফুটবলের বিপুল বিস্ময়!
আরও পড়ুন: এর নামই কি ‘গোট এফেক্ট’?
/এম ই
Leave a reply