সাতক্ষীরাতে ময়লা-আবর্জনা কার্যালয়ে ঢুকিয়ে বিক্ষোভ পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের

|

বেতন না পেয়ে বিক্ষোভ পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের।

সাতক্ষীরাতে ময়লা-আবর্জনা কার্যালয়ে ঢুকিয়ে বিক্ষোভে নেমেছেন পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। তারা বলছে, বেতনের টাকা পরিশোধ না করলে বন্ধ থাকবে পরিচ্ছন্নতা কাজ। মেয়র বলছেন, একটি সিন্ডিকেট কার্যালয় দখল করার কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে সার্বিক কার্যক্রম।

বুধবার (২৩ আগস্ট) পৌরসভার কার্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে বিক্ষোভ করেন পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। ভেতরে ময়লার ট্রাক রেখে বন্ধ করা হয়েছে যাতায়াতের পথ। তাদের অভিযোগ, দুই মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না তারা। করছেন মানবেতর জীবনযাপন। বেতন চাইলে চলে নানা টালবাহানা। তাই বাধ্য হয়েই নেমেছেন বিক্ষোভে।

দোকানে বাকি, স্কুলে বকেয়া, সন্তানকে ভর্তি করতে পারছেন না ১১৭ পরিচ্ছন্নতা কর্মী। একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী জানান, ময়লার গাড়ি এখানে রাখা হয়েছে, যাতে আমাদের বেতন পরিশোধ করা হয়। আরেকজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী বলেন, আমরা গরিব মানুষ, রাজনীতি বুঝি না। প্রতিদিন কাজ করি। মাস শেষে আমাদের যেন বেতনটা ঠিকমতো দেয়া হয়, এটাই আমাদের দাবি।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় সদর পুলিশ। বিক্ষোভে থাকা কর্মীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে তারা। প্যানেল মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান জানান, পৌরসভার ফান্ডে পর্যাপ্ত টাকা রয়েছে। মেয়র মহোদয় এসে যদি সিগনেচার করে দেন, তাহলে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা বেতন পাবে।

পৌরসভার প্রধান নির্বাহী নাজিমউদ্দীনের অভিযোগ, কার্যালয়ে আসেন না মেয়র। ফলে আটকে আছে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের বেতনসহ স্বাভাবিক কার্যক্রম। তিনি বলেন, মেয়র মহোদয় তার গাড়ির চাবি, রুমের চাবি সবই নিজের জিম্মায় রেখে দিয়েছেন। নিজের রুম নিজে খুলে অফিস করেন তিনি, পিয়নের কাছে চাবি থাকে না। তাহলে অফিসে আসেন না কেন তিনি?

তবে মেয়র বলছেন ভিন্ন কথা। কার্যালয় দখল করে মেয়রের কাজই করতে দিচ্ছে না প্রধান নির্বাহীর নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট। মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক বিষয়গুলো সবই ১৩-১৪ তারিখে শেষ হয়। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তার রুমে তালা দিয়ে রেখেছেন, যাতে কোনো রেকর্ড না থাকে। সিসি ক্যামেরাগুলোও খুলে রাখা হয়ছে, যার কারণে এখন জীবনের নিরাপত্তাও হুমকির মুখে।

২০২২ সালের ৪ জানুয়ারি প্রধান নির্বাহী হিসেবে সাতক্ষীরা পৌরসভায় যোগদান করেন নাজিমউদ্দীন। এর আগে, কুড়িগ্রামে দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিক পিটিয়ে দেশব্যাপী সমালোচিত হন এই নাজিমউদ্দীন।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply