কুড়িগ্রামে পরিবেশবান্ধব ‘গ্রিন পেন’, কালি শেষে মাটিতে পুঁতলে গজাবে চারা

|

‘গ্রিন পেন’। প্রথম শুনলে মনে হতে পারে সবুজ কালির কলম। আদতে প্রকৃতিবান্ধব বলে এর নাম গ্রিন পেন। কাগজের তৈরি এ কলম দিয়েও লেখা যায় মসৃণভাবে।

বৈশ্বিক জলবায়ুর প্রভাব রোধে কুড়িগ্রামে তৈরি হচ্ছে এই পেন। বিশেষ ধরনের এই কলমের কালি শেষে মাটিতে পুঁতে রাখলে গজাবে গাছের চারা। ‘গ্রিনইকো’ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্ভাবিত এই কলম সহজলভ্য হওয়ায়, ব্যবহার করতে পারবেন যে কেউই। এরইমধ্যে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে গ্রিন পেন রপ্তানি হচ্ছে বিদেশেও।

কলমটির উদ্ভাবক সঞ্জয় চৌধুরী কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কুটির গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জানান, কলমের শেষ অংশে মরিচ, টমেটো, বেগুন, জারুল বা তুলশী গাছের বীজ সংযোজন করা হয়েছে। যা মোড়ানো থাকে রঙ-বেরঙের কাগজ দিয়ে। কালি শেষ হলে মাটি কিংবা টবের মধ্যে কলমটি পুঁতে রাখলেই কিছুদিন পর সেখান থেকে গজাবে গাছের চারা।

সঞ্জয় চৌধুরী প্রথমে তার ভাই সুমনকে নিয়ে কলম তৈরির কাজ শুরু করেন। এখন তার প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন দারিদ্রপীড়িত এই জনপদের ২০ নারী। সাংসারিক কাজ শেষে দিনে গড়ে ২ শতাধিক কলম তৈরি করতে পারেন তারা।

অন্যান্য কলমের মতোই গ্রিন পেন স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করছে শিক্ষার্থীরা। স্থানীয়রা জানান, গ্রিন পেনের কারণে নদী ভাঙন এলাকার পরিচিতি বেড়েছে দেশ-বিদেশে।

পরিবেশ বান্ধব এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন কুড়িগ্রাম বিসিক শিল্প নগরীর উপ-ব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম। প্রতিটি গ্রিন পেন তৈরিতে ব্যয় হয় ৭-৮ টাকা। আর বিক্রি করা হয় ১০ টাকায়।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply