ব্রিকসে বাংলাদেশের নাম না থাকা নিয়ে যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

|

আহমেদ রেজা:

ব্রিকসের নতুন সদস্যদের তালিকায় বাংলাদেশের নাম না থাকাকে কূটনৈতিক ব্যর্থতা হিসেবে দেখতে নারাজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তবে আমন্ত্রণ পাওয়া ছয় সদস্য দেশের নাম নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা। মধ্যপ্রাচ্যে ব্রিকসের শক্তিমত্তা বৃদ্ধির কৌশলকেও আলাদা গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা।

দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ব্রিকসের ১৫তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে সৌদি আরব, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, আর্জেন্টিনা, মিশর এবং ইথিওপিয়াকে জোটে যুক্ত হওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছে সংস্থাটি। বাংলাদেশও এই জোটে যোগ দিতে পারে আগে এমন আভাস পাওয়া গেলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।

সম্ভাব্য কারণ হিসেবে অর্থনীতি এবং ভূ-রাজনীতির বিষয়গুলো সামনে এসেছে। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টিকে কূটনৈতিক ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন না। তিনি বলেন, যারা আগে আবেদন করেছে এবং অর্থনীতি বড়, তাদেরকে নেয়া হয়েছে। আমরা ব্রিকসে যুক্ত হওয়ার জন্য আবেদন করেছি অল্প কিছু সময় আগে। শুনেছি যারা ব্রিকসে যুক্ত হবে তারা ফান্ডও দেবে। তবে এই মুহূর্তে ফান্ডের বিষয়টি আমরা চিন্তা করছি না।

কূটনীতিক বিশ্লেষকরা অবশ্য মনে করেন সৌদি আরব, আরব আমিরাত ও মিশরের মতো যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের ব্রিকসের সদস্য করা ব্রিকেসের নতুন কোনো নীতির অংশ হতে পারে। তবে মধ্যপ্রাচ্যে শক্তি বৃদ্ধিও অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তারা।

এ বিষয়ে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন বলেন, ইরান এবং সৌদি আরবের সম্পর্ক এখন ভালো হচ্ছে। তাই দুটি দেশকেই নেয়া হয়েছে যাতে ভারসাম্য তৈরি হয় এবং মনে না হয় যেকোনো একদিকে ঝোঁকা হচ্ছে।

তবে প্রশ্ন আসে ব্রিকসের নতুন সদস্যদের তালিকায় কেনো বাংলাদেশের নাম নেই? পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, অন্যান্য দেশের মতো আমরা ব্রিকসের সদস্য হওয়ার জন্য অনেক আগে থেকে আবেদন করিনি। তাছাড়া সামনেই নির্বাচন। তাই এই মুহূর্তে নতুন কোনো চুক্তিতে আসতে চায় না বাংলাদেশ।

তবে ভিন্ন মত দিলেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, এ কথা মেনে নেয়া কঠিন যে বাংলাদেশ তেমন আগ্রহ দেখায়নি বলে সদস্য হতে পারেনি। কারণ ব্রিকসের সদস্য হওয়া নিয়ে দেশে ব্যাপক আগ্রহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে।  যেনো যেকোনো মুহূর্তেই আমরা সদস্য হয়ে গেলাম এমন হুলুস্থূল কাণ্ড হয়েছে। ফলে আগ্রহ ছিল না এটা মেনে নেয়া কঠিন।

সম্মেলনের পাশাপাশি বুধবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। যেখানে সদস্যপদের ব্যাপারে সহায়তার আশ্বাস দেয়া হয়েছিল।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply