এশিয়া কাপের সূচনাটা ফেভারিটের মতোই করলো পাকিস্তান। উদ্বোধনী ম্যাচে নেপালকে ২৩৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। ৩৪৩ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য নিয়ে শুরুতেই পাকিস্তানি বোলারদের তোপের মুখে পড়ে নেপাল। ১৪ রান তুলতেই তারা হারিয়ে বসে ৩ উইকেট। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি অপেক্ষাকৃত দুর্বল দলটি। ১০৪ রানেই গুটিয়ে গেছে তাদের ইনিংস।
অথচ ম্যাচের শুরুতেই জোড়া বাউন্ডারি খেয়ে বসেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। কিন্তু সেটিকে ফ্লুক প্রমাণ করে ওভারের শেষ দুই বলে উইকেট তুলে নেন শাহিন। লেগ সাইডে বেরিয়ে যাওয়া বলে ব্যাট ছুঁইয়ে নেপালের উইকেটরক্ষকের ক্যাচে পরিণত হন কুশাল ভুরটেল (৮)। পরের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন রোহিত পাওদেল (০)। পরের ওভারেই নাসিম শাহ’র বলে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দেন আসিফ শেখ (৫)। এরপর ৭৮ বলে ৫৯ রানের জুটি গড়েন সোমপাল কামি আর আরিফ।
এরপরের আঘাত হানেন হারিস রউফ। কিন্তু নিজের টানা দুই ওভারে এই দুই সেট ব্যাটারকেই ফিরিয়ে দিলে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে নেপালের ইনিংস। আরিফ ২৬ আর সোমপাল ২৮ রান করে আউট হন। ২৩.৪ ওভারেই নেপাল অলআউট হয়েছে ১০৪ রানে। পরের উইকেটের মধ্যে ৪টিই তুলে নেন শাদাব খান। এজন্য মাত্র ২৭ রান খরচ করেছেন তিনি। দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি আর হারিস রউফ।
এর আগে, বুধবার (৩০ আগস্ট) মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে তারা। ২৫ রানে হারান ২ উইকেট। এরপর সেখান থেকে ইনিংস মেরামতের কাজটা করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজম। ৪৪ রানে রিজওয়ানের আউটের মধ্য দিয়ে ভাঙ্গে ১০৬ বলে ৮৬ রানের জুটির। ইমাম-উল-হকের মতো রান আউট হন রিজওয়ানও। এরপর চারে নামা সালমান আগা দ্রুত ফিরলে ১২৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে আবার বিপদে পড়ে পাকিস্তান।
এরপর ইফতিখারের সাথে ২১৪ রানের জুটি গড়েন বাবর আজম। তার ওপর ভিত্তি করেই ৩৪২ রানের পাহাড়ে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা। শেষ পর্যন্ত ১৩১ বলে ১৪ চার ও ৪ ছক্কায় ১৫১ রানে আউট হন অধিনায়ক বাবর। এই নিয়ে বাবর ১০৪ ম্যাচ খেলে ১০২ ইনিংসে ১৯টি সেঞ্চুরি করলেন।
এশিয়ার দলগুলোর ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি ভিরাট কোহলির। তিনি ভারতের ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে করেছিলেন ১২টি সেঞ্চুরি। দ্বিতীয়তে আছেন বাবর আজম এবং মহেন্দ্র সিং ধোনি। দুজনেরই রয়েছে ৬টি সেঞ্চুরি। বাবরের সেঞ্চুরির পর তার পার্টনার ইফতিখারও ব্যাটে ঝড় তুলে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন। বাবর ১৫১ রানে আউট হলেও ইফতিখান ৭১ বলে ১০৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। তার ইনিংসে ছিল ১১টি চার ও ৪টি ছক্কা।
নেপালের বোলারদের মধ্যে সোমপাল কামি সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নিয়েছেন। একটি করে উইকেট নেন করণ ছেত্রী ও তারকা স্পিনার সন্দ্বীপ লামিচানে।
Leave a reply