ইরাকের কুর্দিস্তানের কৌসিনজাক শহরে কুর্দিদের ঘাঁটিতে রকেট ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান। শনিবার চালানো এ হামলায় ১২ জন নিহত ও ৫০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সিএনএন।
বসরায় ইরানি কনসুলেট অফিসে হামলার জের ধরে ইরাকের অভ্যন্তরে এই হামলা চালালো ইরান। আহতদের ইরবিলের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে আছেন কুর্দি নেতা মুস্তাফা মাওলুদি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী কুর্দিস্তানে ডেমোক্রেটিক পার্টি অব ইরানিয়ানের দলীয় ভবনে হামলা চালিয়েছে। হামলার কিছু ছবিও দেখিয়েছে তারা।
এর আগে, শুক্রবার ইরাকের বসরায় কারফিউ ভঙ্গ করে রাস্তায় নামে কিছু বিক্ষোভকারী। তারা শহরটিতে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট অফিসে ভাংচুর চালায় ও অগ্নিসংযোগ করে। তেহরানের বিরুদ্ধে ইরাকের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে অযাচিত হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে এ তাণ্ডব চালানো হয়।
সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর থেকেই দেশটির শিয়াদের সাথে ঘনিষ্ঠতা বাড়ায় প্রতিবেশী ইরান। মূলত, এখান থেকেই শিয়া বিরোধীদের ক্ষোভের সূচনা। যার ধারাবাহিকতায় বসরার ইরানি কনস্যুলেটে অগ্নিসংযোগ। যদিও বাগদাদ বলছে, সপ্তাহব্যাপী বিক্ষোভে একাধিক সরকারি কার্যালয়ে ভাঙচুর আর অগ্নিসংযোগ করেছে ক্ষুব্ধ জনতা। এর সাথে আঞ্চলিক রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই।
Leave a reply