গত এক বছরে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক নাজমুল হোসেন শান্ত; ওয়ানডে ও টেস্টে তিনিই সবার ওপরে, টি-টোয়েন্টিতে আছেন দ্বিতীয় অবস্থানে। স্বভাবতই দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এই ব্যাটার ইনজুরির কারণে সুপার ফোর থেকে ছিটকে পড়াটা সাকিব বাহিনীর জন্য বড় দুঃসংবাদ।
ওপেনারদের ব্যর্থতার পর নিয়মিতই ইনিংস মেরামতের কাজটি করছিলেন শান্ত। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে গত এক বছরে প্রায় দেড় হাজার রান করেছেন তিনি, যার ধারে-কাছে নেই আর কোনো বাংলাদেশি ব্যাটার। চলতি এশিয়া কাপেই পাল্লেকেলেতে দলের কঠিন পরিস্থিতিতে ৮৯, আর লাহোরের ১০৪ রানই বলে দিচ্ছে বাংলাদেশের ব্যাটিং মেরুদণ্ড এখন নাজমুল হোসেন শান্ত।
টেস্ট এবং ওয়ানডেতে তিনিই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক গত এক বছর ধরে। টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ! টেস্টে ৮ ইনিংসে ৪৬ গড়ে ৩৭০ রান এসেছে এই বাঁহাতি ব্যাটারের থেকে, সমান ইনিংসে মুশফিক ও লিটনের রান যথাক্রমে ৩১৮ ও ২৮২ রান।
টেস্টের মতো ওয়ানডেতেও দুর্বার শান্ত। ১৫ ওয়ানডে ইনিংসে প্রায় ৪৩ গড়ে ৬৪৩ রান; এখানেও তাকে অনুসরণ করছেন মুশফিক- তার রান ৫২১; সাকিব আছেন তৃতীয় স্থানে ৪৯৩ রান নিয়ে। টি-টোয়েন্টিতে কেবল শীর্ষস্থানটা হাতছাড়া শান্ত’র। এখানে গত এক বছরে ১৯ ইনিংসে ৫৮৯ রান লিটনের, ১৬ ইনিংসে ৪১৮ রান দ্বিতীয় স্থানে শান্ত। তৃতীয় স্থানে থাকা সাকিবের রান ৩৩৭।
সাকিবের বড় এক অস্ত্র এখন শান্ত, বড় নির্ভরতার জায়গাও। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের সময় হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়েন। পরে এমআরআই’য়েও ধরা পড়ে ইনজুরি। সামনে বিশ্বকাপ, আর তাই তুরুপের তাসকে পুনর্বাসনে পাঠানো ছাড়া আর কোনো উপায় নেই! শান্তও ফেসবুক পোস্টে দলের প্রতি শুভকামনা জানিয়েছেন। বিশ্বকাপ মাথায় রেখে সুস্থ হয়ে ওঠার প্রস্তুতি নেবেন তিনি।
তবে শান্তর এই অনুপস্থিতি বড় প্রভাবক হয়ে উঠতে পারে একাদশে। নিয়মিত ওপেনারদের ব্যর্থতা পুষিয়ে দিচ্ছিলেন টাইগারদের তিন নম্বর পজিশনে নামা এ ব্যাটার। এখন তার বদলে যেই খেলুক চাপটা নিশ্চিত থাকবে পাহাড়সম, কারণ শান্ত যে তার পজিশনের নতুন মানদণ্ড তৈরি করেছেন। সেটি পূরণ পারবেন তো কেউ?
/আরআইএম
Leave a reply