ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১৯৩ রানে গুটিয়ে গেলো বাংলাদেশ

|

ছবি: সংগৃহীত

এশিয়া কাপের সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানি পেসারদের বোলিং তোপে মাত্র ১৯৩ রানে অলআউট হয়ে যায় সাকিব আল হাসানের দল। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও মুশফিকের ফিফটি ছাড়া আর কোনো ব্যাটার দাঁড়াতে পারেনি। পাকিস্তানের হয়ে ৪ উইকেট নেন হারিস রউফ।

বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আগের ম্যাচের মতো এদিনও উদ্বোধনী ব্যাটার হিসেবে নামেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা মিরাজ পাকিস্তানের বিপক্ষে গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফেরেন। দ্বিতীয় ওভারে নাসিম শাহর করা প্রথম বলেই স্কয়ার লেগে ফখর জামানকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মিরাজ।

এরপর শুরুর বিপর্যয় সামাল দেন লিটন দাস ও নাইম শেখ। অবশ্য এই দু’জনের জুটি বেশিদূর এগোতে দেননি শাহীন আফ্রিদি। তার করা শর্ট লেন্থের বাড়তি বাউন্স পাওয়া বল খোঁচা মারতে গিয়ে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন লিটন। ৪টি চারের সাহায্যে লিটনের ব্যাট থেকে এসেছে ১৬ রান।

এরপর বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি নাইম শেখ। ভালো শুরু পেলেও তিনি ইনিংস বড় করতে পারেননি এই বাঁহাতি ব্যাটার। হারিস রউফের ওপর চড়াও হতে গিয়ে বাংলাদেশের এই ওপেনার টপ এজ হয়েছেন ব্যক্তিগত ২০ রানে। নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি তাওহিদ হৃদয়ও। রউফের ১৪৫ গতির বলে যেন চোখেই দেখেননি। বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন এই তরুণ ব্যাটার। হৃদয় ২ রানে ফিরলে ৪৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ।

এরপর বাংলাদেশের হাল ধরেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। দু’জনই স্ট্রাইক রোটেড করে খেলার সঙ্গে বাউন্ডারি মেরে রানের চাকা সচল রাখেন। দু’জনের জুটি এরই মধ্যে পঞ্চাশ ছাড়িয়েছে। মুশফিককে সঙ্গী করে ৫৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সাকিব। ইফতেখার আহমেদের বল লং অনে পাঠান সাকিব আর তাতেই একশ’ত রানের জুটি পূর্ণ তাদের। এরপরেই ছন্দপতন ঘটে সাকিবের, ফাহিম আশরাফের স্লোয়ার বল পুল শট খেলতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লাগলে টপ এজ হয়ে বল চলে যায় লেগ সাইডে বাউন্ডারির কাছে দাঁড়ানো ফখর জামানের হাতে। ৫৭ বলে ৭টি চারের সাহায্যে ৫৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন সাকিব।

সাকিব ফিরে গেলে শামীম পাটোয়ারিকে নিয়ে ৭১ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিক। এদিকে দারুণ শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি শামীম। ইফতিখারের লেংথ ডেলিভারিতে মিড অনের উপর দিয়ে মারতে গিয়ে ইমাম উল হকের হাতে তালু বন্দি হন ১৬ রান করা এই ব্যাটার। 

শামীমের বিদায়ের পর উইকেট বিলিয়ে দেন মুশফিকও। হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া এই ব্যাটারকে ফেরান হারিস রউফ। ডানহাতি এই পেসারের বলে জায়গা বানিয়ে মারতে গিয়ে মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৬৪ রানের ইনিংস খেলা মুশফিক। পরের বলে আউট হন তাসকিন আহমেদ। আফিফ হোসেনের সামনে সুযোগ ছিল লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের নিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দুইশোর উপরে নিয়ে যাওয়া। অথচ তিনি উইকেট ছুড়ে এসেছেন আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে। নাসিম শাহর করা শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে মিড অনে ফাহিম আশরাফের সহজ ক্যাচ হন তিনি। এরপর শরিফুলকে বোল্ড করে বাংলাদেশের ইনিংসে ১৯৩ রানে গুটিয়ে দিয়েছেন নাসিম।

পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট পান হারিস রউফ। এছাড়াও নাসিম শাহ নেন ৩টি উইকেট এবং শাহীন আফ্রিদি, ইফিতেখার আহমেদ, ফাহিম আশরাফ নেন ১টি করে উইকেট।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply