ড. ইউনূস ইস্যুতে অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসের বিবৃতিতে সই করতে অস্বীকার করে ব্যাপক আলোচনায় আসেন বরখাস্তকৃত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভুঁইয়া। তিনি গণমাধ্যমে বলেন, ‘বিচারিক হয়রানির শিকার হচ্ছেন নোবেলজয়ী ড. ইউনূস’। এরপর থেকেই আলোচনা- কে এই এমরান? কেনই বা তার ইউটার্ন?
এমরান আহম্মদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। তার বাবা সুলতান আহম্মদ ভূঁইয়ার চাকরি সূত্রে বেড়ে ওঠেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। একই বিশ্ববিদ্যালয়ে একসময় শিক্ষকতা করেছেন ড. ইউনূসও। জানা যায়, সুলতান আহম্মদও ড. ইউনূসের ঘনিষ্ঠজন। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, এ কারণেই কি ড. ইউনূসের পক্ষে অবস্থান এমরানের?
এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে পড়াশোনা করেছেন এমরান। তার বিভাগের সাবেক দুই শিক্ষার্থী, যারা এখন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, তারা ফেসবুকে লিখেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ করতেন এমরান। সভাপতি পদেও ছিলেন তিনি।
এর আগে, ২০০৩ সালে হাইকোর্টে প্র্যাকটিসের অনুমতির দু’বছর পর বার কাউন্সিলের সদস্য পদ পান এমরান। এরপর ২০১৮ সালে মন্ত্রীর সুপারিশে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নিযুক্ত হন বলে ফেসবুকে লিখেন তার এক সহকর্মী। তবে, হঠাৎ কেন ড. ইউনূসের পক্ষে অবস্থান এমরানের?
অপরদিকে, এমরানের ফেসবুকের কভারে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি। টাইমলাইনজুড়ে আওয়ামী লীগের নীতি-আদর্শ ও সরকারের উন্নয়নের কথা লেখা।
সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী ফেসবুকে লিখেছেন, এমরান বিচারপতি হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে তদবির করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হয়েছিলেন। কিন্তু পরপর দুই নিয়োগে বিচারপতি হতে না পারায় ক্ষোভ জন্মেছে মনে।
আবার কারও কারও মতে, এমরানের আত্মীয়-স্বজনদের অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রে। ভিসা নিশ্চিত করতেই ড. ইউনূসের পক্ষ নিয়েছেন তিনি। তার এমন মন্তব্যে হতবাক অ্যাটর্নি কার্যালয়ের সহকর্মীরা। ক্ষোভে তুলে ফেলেন নেমপ্লেট।
ভিডিও প্রতিবেদন দেখুন:
/এআই
Leave a reply