এশিয়া কাপের সুপার ফোরে নিজেদের বাঁচা-মরার লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে সাদিরা সামারাবিক্রমার ৯৩ রানের ওপর ভর করে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রান সংগ্রহ করেছে শ্রীলঙ্কা। জয়ের জন্য টাইগারদের সামনে লক্ষ্য ২৫৮ রান।
কলম্বোর প্রেমাদাসা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এদিন, একাদশে এক পরিবর্তন আনে টাইগারা। আফিফ হোসেন ধ্রুবকে বসিয়ে নেয়া হয় বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে। আগে ব্যাট করতে নেমে দেখেশুনে শুরু করে লঙ্কান দুই ওপেনার করুনারত্নে ও নিসাঙ্কা।
ইনিংসের ৬ষ্ঠ ওভারে এসে উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। লেংথে পড়ে হাসান মাহমুদের বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে আউটসাইড এজ হয়ে উইকেটের পেছনে থাকা মুশফিকুর রহিমকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ১৮ রান করা দিমুথ করুনারত্নে। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন কুশল মেন্ডিস।
নিশাঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন মেন্ডিস। রান তোলার গতি সচল রেখে দেখেশুনে খেলতে থাকেন এই দুই ব্যাটার। এরপর মাঝে দুই ক্যাচ মিস করেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। ইনিংসের ১৯তম ওভারে হাসান মাহমুদের করা বল নিসাঙ্কার ব্যাটের কানায় লেগে পেছনে চলে যায় তবে মুশফিক খানিকটা লাফ দিলেও বল নাগালেই পেয়েছিল। কিন্তু তালুবন্দি করতে পারেননি মুশফিক, ৩৬ রানে জীবন পান নিসাঙ্কা। এরপর শরিফুলের শর্ট লেংথের বলে পুল করেছিলেন মেন্ডিস, স্কয়ার লেগে থাকা শামীমের হাত গলে বেরিয়ে সেটি ছক্কা হয়ে যায়। একটু পেছনে থাকলে এই ক্যাচ শামীম নিতে পারতেন অনায়াসে। ফলে ২৯ রানে জীবন পেয়ে যান মেন্ডিস।
তবে দলীয় ১০৮ রানে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন শরিফুল। ৬০ বলে ৪০ রান করা নিশাঙ্কাকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তিনি। এর ফলে মেন্ডিসের সঙ্গে তার দ্বিতীয় উইকেট জুটি ভাঙে ৭৪ রানে। ৭২ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মেন্ডিস। এরপরই ধৈর্য্য হারান লঙ্কান এই ডানহাতি ব্যাটার। শরিফুলের করা স্লোয়ার বাউন্স বলে আপার কাট করেছিলেন মেন্ডিস। তবে ব্যাটে বলে করতে না পারলে বল চলে যায় সোজা থার্ড ম্যান অঞ্চলে থাকা তাসকিন আহমেদের হাতে। তিনি জায়গায় দাঁড়িয়ে সহজ ক্যাচ নিয়েছেন। ৭৩ বলে ৫০ রান করে ফেরেন মেন্ডিস।
এরপর সাদিরা সামারাবিক্রমা ও চারিথ আসালাঙ্কা মিলে সেই চাপ সামলানোর চেষ্টা করতে থাকে। কিন্তু সেই জুটিও দীর্ঘস্থায়ী হতে দেননি টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদ। তাসকিনের বাউন্সারে পুল শট খেলতে গিয়ে বল টপ এজ হয়ে অধিনায়ক সাকিবের হাতে চলে যায়, ব্যক্তিগত ১০ রানেই ফেরেন আসালাঙ্কা। ধনঞ্জয়া ডি সিলভাও নামের প্রতি সুনিচার করতে পারেননি। হাসান মাহমুদের শিকার হয়ে, ১৬ বলে ৬ রান করে ফেরেন তিনি।
একপ্রান্ত আগলে রেখে সামারাবিক্রমা তুলে নেন নিজের অর্ধ-শতক। ক্রিজে তখন তার সাথে ছিলেন অধিনায়ক শানাকা। দু’জনের জুটিও পঞ্চাশে চলে যায়। কিন্তু এই জুটিতে ভাঙন ধরান হাসান। চিকি শট খেলতে গিয়ে হাসানের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ২৪ রান করা শানাকা। শেষ ওভারের শেষ বলে সামারাবিক্রমা ফেরেন ৭২ বলে ৯৩ রান করে। ফলে শ্রীলঙ্কার ইনিংস শেষ হয় ৫০ ওভার খেলে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৭ রানে।
বাংলাদেশের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন হাসান মাহমুদ ও তাসকিন আহমেদ। এছাড়াও শরিফুল ইসলাম নেন দু’টি উইকেট। জয়ের জন্য টাইগারদের সামনে লক্ষ্য ২৫৮ রান।
/আরআইএম
Leave a reply