পাহাড়ে অপহৃতের খণ্ডিত মরদেহ, আসামিকে ছিনিয়ে পিটিয়ে হত্যা

|

নিহত স্কুলছাত্র শিবলী সাদিক হৃদয়। ছবি: সংগৃহীত

অপহরণের ১৪ দিন পর স্কুলছাত্রের খণ্ডিত মরদেহ মিলেছে রাউজান-রাঙামাটি সীমান্তের দুর্গম পাহাড়ে। মরদেহ দেখে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠা জনতা পুলিশের গাড়ি থেকে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এসময় আহত হয় ৫ পুলিশ।

গ্রেফতার হওয়া যুবকের দেয়া তথ্য অনুযায়ী সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে রাউজানের কদলপুর-রাঙ্গুনিয়া সীমান্তবর্তী দলুছড়ি পাহাড়ি এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে স্কুলছাত্রের দেহের খণ্ডিত অংশগুলো উদ্ধার করা হয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা উমংচিং মারমা নামে ওই আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

নিহত স্কুলছাত্রের নাম শিবলী সাদিক হৃদয় (২০)। তিনি উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের পঞ্চপাড়া গ্রামের মো. শফিক ড্রাইভারের ছেলে। মারধরে নিহত যুবক হলেন উমংচিং মারমা (৩০)।

নিহত হৃদয়ের পরিবার জানায়, হৃদয় পড়াশোনার পাশাপাশি কদলপুরে একটি মুরগির খামারে চাকরি করতেন। তিনি কদলপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ২৮ আগস্ট হৃদয়কে অপহরণ করে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারিরা। পরে ২ লাখ টাকা দিলেও হৃদয়কে ছেড়ে দেয়নি তারা। সোমবার কাউখালীর দুর্গম বালু পাহাড়ে তার খন্ডিত মরদেহ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় হত্যা মামলা করে নিহতের পরিবার। অন্যদিকে হামলা, ভাঙচুর ও কাজে বাধাদানের অভিযোগে আলাদা মামলা করেছে পুলিশ।

ওসি আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, অপহরণের ঘটনায় রোববার রাতে আসামি উমি চিং মারমাকে নগরীর সিঅ্যান্ডবি এলাকা থেকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, অপহৃত শিক্ষার্থীকে হত্যার পর মরদেহ মাটিচাপা দিয়েছে তারা। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সোমবার সকালে তাকে নিয়ে কদলপুর-রাঙ্গুনিয়া সীমান্তবর্তী কাউখালীর পাহাড় থেকে হৃদয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ওসি আরও বলেন, লাশ উদ্ধার করে ফেরার পথে পঞ্চপাড়া গ্রামে পাঁচ শতাধিক নারীসহ স্থানীয়রা আমাদের পথরোধ করেন। উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়ি থেকে আসামি উমংচিং মারমাকে ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply