চট্টগ্রাম নগরের বন্দর থানা এলাকায় রুমা আক্তার (৫০) নামে এক নারীকে হত্যার অভিযোগে তার জামাতা মো. আজিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ১২ ঘন্টা পর তাকে গ্রেফতার করে চট্টগ্রামের বন্দর থানা পুলিশ।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে নগরের ডবলমুরিং থানার সুপারিওয়ালা পাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আজিম কর্ণফুলীর শিকলবাহা এলাকার মৃত আলী জোহরের ছেলে।
স্ত্রীর চাকরির সুবাদে দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামে কলসীদীঘির পাড়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন আজিম-পারভীন দম্পতি। সাথে থাকতেন পারভীনের মা রুমা আক্তারও। কিন্তু বনিবনা ছিলো না জামাই শ্বাশুড়ির। লেগে থাকতো ঝগড়া বিবাদ। একপর্যায়ে রোববার সকালে স্ত্রী গার্মেন্টসে গেলে শাশুড়িকে বালিশ চাপা দিয়ে খুনের পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মরদেহ ঝুলিয়ে দেন জানালার সাথে।
হত্যাকান্ডের ১২ ঘন্টা পর সুপারিওয়ালা পাড়া থেকে আজিমকে গ্রেফতার করে বন্দর থানা পুলিশ। শাশুড়িকে খুন করবে বলে আজিম প্রায়ই হুমকি দিলেও তা আমলে নেননি তার স্ত্রী। সিএমপির ডিসি শাকিলা সুলতানা জানান, বিভিন্ন সময়ে সে তার স্ত্রীকে বলতো, তার মাকে সে মেরে ফেলবে। হয় তুমি মরবে, নাহয় তোমার মা মরবে– প্রায়শই তার স্ত্রীকে এরকম হুমকি দিতো আসামি। তারা গা করতো না।
বন্দর থানার ওসি সঞ্জয় কুমার সিনহা বলেন, নিহত রুমা আক্তারের ছেলে মো. জুয়েল বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সোমবার অভিযুক্ত আজিমকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, গ্রেফতারকৃত আজিম একজন রোহিঙ্গা। ১৯৮১ সালে মিয়ানমার থেকে এসে এদেশে বসবাস শুরু করেন। জাতীয় পরিচয়পত্র বানান কর্ণফুলীর শিকলবাহা থেকে।
/এএম
Leave a reply