জাতীয় ঐক্য না থাকলে পশ্চিমাদের সাথে দরকষাকষি কঠিন: সিপিডি

|

জাতীয় ঐক্য না থাকলে নির্বাচনের আগে পশ্চিমা শক্তির সাথে দরকষাকষি সহজ হবে না। সেক্ষেত্রে দেশের চেয়ে ব্যক্তি স্বার্থ বড় হয়ে উঠতে পারে। এমন আশঙ্কা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের। তার মতে, অর্থনীতি টালমাটাল। এজন্য শুধু রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধকে দুষলে ভুল হবে। আর্থিক খাতে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার এনে, জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনাই হবে পরবর্তী সরকারের চ্যালেঞ্জ।

আসছে জাতীয় নির্বাচনে রাজপথে প্রাধান্য বিস্তারে ব্যস্ত চির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল। ১৯৯১ সালে গণতন্ত্র যাত্রার পর থেকে অনেকবারই নির্বাচনের আগে দেখা গেছে এমন উত্তেজনা। প্রতিবারই এর প্রভাব পড়েছে অর্থনীতি আর সাধারণের জীবিকায়।

দেশের রাজনৈতিক অর্থনীতি নিয়ে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের পর্যবেক্ষণ দীর্ঘদিনের। সিপিডির সম্মানিত ফেলোর পাশাপাশি তদারকি করছেন এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম। তার মতে, নির্বাচনের আগে পশ্চিমা প্রভাব নতুন নয়। তবে সময়ের সাথে সেটি মোকাবেলার আদল বদলেছে।

যমুনা নিউজের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, একটি দেশের সরকার যখন বিদেশি সরকারের সাথে আলোচনায় বসে, সেখানে দরকষাকষি করে, তখন সেই সরকারের পেছনে যদি জাতীয় ঐক্য না থাকে, তাহলে সেই সরকার খুব দুর্বলভাবে দরকষাকষি করে। এবং তার গণতান্ত্রিক বৈধতার ক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় থাকে তখন সে সরকার যতখানি না দেশের স্বার্থে, তার চেয়ে বেশি সরকারের স্বার্থে সে দিয়ে দেয়।

সিপিডির এই সম্মানিত ফেলো বলেন, আগামী দিনে দেশ পরিচালনার বিষয়ে যারা প্রত্যাশা করেন, আমি তাদের এই কথাটাই বলব, এটা খুব সহজ কাজ হবে না। বৈশ্বিক পরিস্থিতি ২০২৪ সালে কিছুটা উন্নতি হবে। ২০২৩ এর চেয়ে পণ্য মূল্যের দাম কমবে। হয়তো সুদের হারও কিছু কমবে, হয়তো সুদের হার কমবে, মূল্যস্ফীতির হার কমবে, কিন্তু তাতে করোনা পূর্ব পরিস্থিতির মতো হবে না।

রাজনৈতিক সংকট সমাধানে, নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণ জরুরি বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ। তবে তাদের ভূমিকা নিরপেক্ষ কি না তা নিশ্চিত করতে হবে।

আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply