সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের আগুন

|

সাড়ে ৫ ঘণ্টারও বেশি সময় পর নিয়ন্ত্রণে এলো রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে লাগা ভয়াবহ আগুন। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল নয়টা ২৫ মিনিটের দিকে এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইন্টেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এই আগুনে পুড়ে গেছে শতাধিক দোকান।

বৃহস্পতিবার ভোর পৌনে চারটার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানা যায়। এর পরপরই ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। তবে আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকলে একে একে আরও ১০টি ইউনিট গিয়ে আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। মোট ১৭টি ইউনিট কাজ করে। আর ১৫০ জন ফায়ার ফাইটার এই কার্যক্রমে অংশ নেন।

এছাড়া আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তা করতে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর অগ্নি নির্বাপনী সাহায্যকারী দল। এছাড়া, বিজিবি, পুলিশ ও র‍্যাব কাজ করে।

তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, অগ্নিনির্বাপন কার্যক্রম চালাতে মার্কেটের ভেতরে প্রবেশ করতে বেগ পোহাতে হয়েছে। মার্কেট তালাবদ্ধ ছিল, তাই তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করতে হয়েছে। আর নৈশপ্রহরী বাহিরে ছিল। এছাড়া ‘গদাগদি’ অবস্থায় ছিল মালামাল।

তিনি আরও বলেন, আগুন একটি জায়গায় আটকানো হয়েছে। তাই নিয়ন্ত্রণে বলা হয়েছে। এখন আমরা আগুনের ছোট ছোট উৎস খুঁজে তা নেভানোর কাজ করবো।

ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা জানান, মার্কেট কর্তৃপক্ষকে বারবার নোটিশ করা হয়েছে। কিন্তু তারা সেভাবে সহযোগিতা করেনি। আর নিজেরাও সাবধান হননি। কোনো সেফটি প্ল্যান ছিল না। আমাদের গাড়ির পানি শেষ হয়ে গেলে পাশের এলাকা থেকে বিভিন্ন বাহিনীর মাধ্যমে পানি এনে পানি দিতে হয়েছে।

তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন, মুদির দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে, তদন্তের পর সঠিকভাবে জানা যাবে শর্ট সার্কিট বা কয়েল থেকে নাকি কেউ আগুন লাগিয়েছে।

এই মার্কেটে যেটুকু বিদ‍্যুৎ দেয়ার কথা তার চেয়ে দ্বিগুণ বা বেশি লোডের বিদ‍্যুৎ ব‍্যবহার হতো বলে উল্লেখ করেন তিনি। তাই শর্ট সার্কিট হওয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে বলে জানান।

এদিকে, ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মার্কেটটিতে পাঁচশর বেশি দোকান আছে। সেখানে ব্যবসা করেন কয়েক হাজার ব্যবসায়ী। কাঁচাবাজার ছাড়াও মার্কেটটিতে রয়েছে জুয়েলারি, প্লাস্টিক, কসমেটিকস ও জুতার দোকান। মার্কেটের ভেতরে থাকা এসির বিস্ফোরণে আগুন আরও দ্রুত ছড়ায় বলেও জানিয়েছেন কেউ কেউ।

ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, মার্কেটে শাড়ি-কাপড়সহ বিভিন্ন দাহ্য পণ্যের দোকান থাকায় মুহূর্তের মধ‍্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এখন পর্যন্ত কারও হতাহত হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply