বিড়াল কখনও বাঘ হয় না। এমন কথা হরহামেশাই শোনা যায়। তবে, এবার কুকুর হবে বাঘ। অবাক হচ্ছেন? যুক্তরাষ্ট্রে আছে এমনই এক পেট গ্রুমিং স্টোর, যেখানে শিল্পীর ছোঁয়ায় কুকুর হয়ে যায় বাঘ কিংবা চিতাবাঘ। খবর রয়টার্সের।
অভিনব এই কাজের জন্য সান দিয়েগো শহরের দোকানটি এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে পেয়েছে বেশ জনপ্রিয়তা। পছন্দের পোষ্যকে নানা রূপে সাজাতে দোকানটিতে ভিড় জমাচ্ছেন অনেকে। কেউ আবার আসেন কুকুরের বিদঘুটে চেহারা বদলাতেও।
মূলত, নানা রঙে সাজিয়ে প্রাণীর রূপই বদলে ফেলা হচ্ছে দোকানটিতে। কুকুর সাজানোর অভিনব এই কাজটি করছেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ব্রাজিলিয়ান গ্যাব্রিয়েল ফেইতোসার পেট গ্রুমিং স্টোর। খবর রয়টার্সের।
পেট গ্রুমিং স্টোরের মালিক গ্যাব্রিয়েল ফেইতোসা বলেন, আমার যেমন নিউইয়র্কের ক্লায়েন্ট আছে, তেমনি মায়ামি, আটলান্টারও আছে। আরও অনেক রাজ্য থেকেই নিজের পোষা কুকুরটিকে সাজাতে আসে অনেকে।
গ্যাব্রিয়েল শৈশবে কুকুর ভয় পেতেন। সেই ভয় কাটাতে মাত্র ১২ বছর বয়সে ব্রাজিলের সাও পাওলোতে বোনের বাড়ির একটি কুকুরকে সাজিয়েছিলেন। এরপর শখ থেকে তা নেশায় পরিণত হয়। যা এখন তার পেশাও বটে।
গ্যাব্রিয়েল ও তার দোকানের শিল্পীদের ছোঁয়ায় কোনো কুকুর যেমন বদলে যাচ্ছে চিতাবাঘের রূপে, তেমনি আবার কোনোটা হয়ে যাচ্ছে শেয়াল। এছাড়া অনেক অদ্ভুতুড়ে সাজসজ্জায়ও সাজানো হয় এই প্রাণী। অবশ্য এজন্য গুণতে হয় চড়া মূল্য। একেকটি কুকুর সাজাতে খরচ করতে হয় সর্বনিম্ন ৫০০ থেকে ১২শ’ ডলার পর্যন্ত। সাজাতে গিয়ে প্রাণীটির যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখেন শিল্পীরা।
গ্যাব্রিয়েল ফেইতোসা বলেন, অনেকে আমার এই কাজকে পশু নির্যাতনের সাথে তুলনা করে। তারা না জেনেই এটি বলে। এছাড়া কুকুরের স্বাস্থ্যের বিষয়টিও খেয়াল রাখি আমরা। যেসব জিনিস ব্যবহার করা হয়, সেগুলো পোষা প্রাণীর জন্যই তৈরি। কোনো ধরনের বিষাক্ত কিছু নেই এতে। এই কুকুরের কারণে আমার জীবন বদলে গেছে, কাজেই তাদের ক্ষতি হোক এমন কিছু করবো না আমি।
এছাড়া, সড়কে মালিকবিহীন যেসব কুকুর ঘুরে বেড়ায় সেগুলোকেও আকর্ষণীয় রূপ দেন গ্যাব্রিয়েল। একটি সামাজিক সংগঠনের সাথে যুক্ত হয়ে কাজটি করছেন তিনি। যাতে অন্যরাও কুকুর দত্তক নিতে আগ্রহী হয়।
/এমএন
Leave a reply