১২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করলো বিএনপি

|

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। এই সময়ে ৫টি রোডমার্চ, সমাবেশ এবং কনভেনশন আয়োজন করা হবে।

সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে গেলো প্রায় দেড় বছর ধরে প্রতি সপ্তাহেই ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা দলগুলো।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আগামী ১২ দিনের কর্মসূচি ঘোষনা করেছে বিএনপি। যেখানে থাকছে ৫টি রোডমার্চ ও ঢাকার চারপাশের বিভিন্ন অঞ্চলে সমাবেশ। এছাড়া রাজধানীতে কৃষক, শ্রমিক, মহিলা সমাবেশ এবং পেশাজীবী কনভেনশনও থাকছে এই কর্মসূচিতে।

১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার কেরাণীগঞ্জ ও গাজীপুরের টঙ্গীতে সমাবেশ। ২১ সেপ্টেম্বর ভৈরব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেটে রোডমার্চ। ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগরের যাত্রাবাড়ী ও উত্তরায় সমাবেশ, একইদিন বাদ জুমা বিএনপি চেয়ারপারসনের আশু রোগমুক্তি কামনায় সারা দেশে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর হবে বরিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, পটুয়াখালীতে রোডমার্চ। ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগরের নয়াবাজার ও ঢাকা জেলার আমিন বাজারে সমাবেশ। ২৬ সেপ্টেম্বর খুলনা বিভাগে রোডমার্চ এবং ঢাকায় পেশাজীবী কনভেনশন। ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগরের গাবতলী ও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় জনসমাবেশ। ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকায় মহিলা সমাবেশ। ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় শ্রমজীবী কনভেনশন। ১ অক্টোবর হবে ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ রোডমার্চ। ২ অক্টোবর ঢাকায় কৃষক সমাবেশ এবং ৩ অক্টোবর কুমিল্লা, ফেনি, মীরসরাই ও চট্টগ্রামে রোডমার্চ।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত কর্মসূচি আজকে ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে আমরা এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। সরকার যদি অন্যায়ভাবে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটায়, আমাদের কর্মসূচিরও পরিবর্তন হবে।

গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এমন শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে জনগণের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়েই সরকারের পতন নিশ্চিত করবেন তারা। সেই সঙ্গে রাজপথই নির্ধারণ করবে আন্দোলনের গতিপথ। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, চলমান আন্দোলন কখন, কোনদিকে রুপ নেবে, তা রাজপথই নির্ধারণ করবে। রাস্তা বা মানুষই বলে দেবে, আন্দোলন কোনদিকে যাবে। কোনো সরকার টিকে থাকতে পারে না জনগণের ইচ্ছের বিরুদ্ধে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, সরকার এটা মানবে কি মানবে না, তা সরকারের বিষয়। ইতোমধ্যে আমরা লক্ষ করেছি, সারা বিশ্বের মানুষ কী বলছে। সরকারের নৈতিক পরাজয় ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। তারা গায়ের জোরে থাকবে কি থাকবে না, সেটা অন্য বিষয়।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। সরকারের প্রতি মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ সৃষ্টির আহ্বান জানান তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারকে আহ্বান জানাতে চাই যে, সবকিছু ভুলে গুরুতর অসুস্থ গণতন্ত্রের নেত্রীর জীবন রক্ষার্থে অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করা হোক।

এদিন বিকেলে গুলশানে একটি হোটেলে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল-সর্বোচ্চ আদালতের রায় লঙ্ঘন’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচিত হয়। যেখানে যোগ দিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানান তারা।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply