থানায় ছাত্রলীগ নেতাদের মারধর: তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময় বৃদ্ধি

|

রাজধানীর শাহবাগ থানায় নিয়ে গিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের তিন নেতাকে মারধরের ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময় তিন দিন বাড়ানো হয়েছে।

এ ঘটনায় গঠিত তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আজ মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জমা দেয়ার কথা ছিল। তবে, প্রতিবেদন জমা দিতে তদন্ত কমিটি আরও সাত দিন সময় চাইলে তিন দিন বাড়ানো হয়।

এই তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে অন্তত ৪০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে হারুন-অর-রশীদ, এডিসি সানজিদা আফরিন, পরিদর্শক মো. গোলাম মোস্তফা রয়েছেন।

তদন্তসংশ্লিষ্ট একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র থেকে জানা গেছে, এই ঘটনায় পুলিশের সাময়িক বরখাস্ত এডিসি হারুন-অর-রশীদের পাশাপাশি এডিসি সানজিদা আফরিন ও তার স্বামী রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব আজিজুল হক এবং ছাত্রলীগ নেতাদেরও দায় পেয়েছে তদন্ত কমিটি। তাদের মতে, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনায় সব পক্ষেরই সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে।

এর আগে, এই ঘটনায় ডিএমপির বিভাগীয় তদন্তের জন্য গত ১০ সেপ্টেম্বর কমিটি গঠনের পর দুই কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। তবে, তদন্ত শেষ করতে ১৩ সেপ্টেম্বর আরও পাঁচদিন সময় চাইলে বাড়ানো হয়। এরপর আজ আবারও তিন দিন সময় বাড়ানো হলো। এ নিয়ে দুইবার সময় বৃদ্ধি করা হলো।

প্রসঙ্গত, গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে শাহবাগ থানায় নিয়ে গিয়ে ছাত্রলীগের তিন নেতাকে মারধর করা হয়। এর মধ্যে দুই আহত হলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল শাখার সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ।

ভুক্তভোগী ও তাদের সহপাঠীদের অভিযোগ, পুলিশের রমনা বিভাগের তৎকালীন এডিসি হারুন-অর-রশীদ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এই দুই নেতাসহ সংগঠনটির মোট তিন জন সদস্যকে থানায় নিয়ে বেড়ধক পেটান।

এ ঘটনায় এডিসি হারুনকে ১০ সেপ্টেম্বর রমনা বিভাগ থেকে সরিয়ে ডিএমপির পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট বিভাগে সংযুক্ত করা হয়। একইদিন সন্ধ্যায় তাকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করা হয়। পরের দিন ১১ সেপ্টেম্বর বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে হারুনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে সাময়িক বরখাস্তের পাশাপাশি পুলিশ অধিদফতরে তাকে সংযুক্ত করা হয়।

আবার মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) জারি হওয়া প্রজ্ঞাপনে এডিসি হারুনকে রংপুরের ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করার বিষয়ে জানানো হয়।

এ ইস্যুতে হারুনের পাশাপাশি এডিসি সানজিদা আফরিনও আলোচনায় আসেন। ছাত্রলীগ নেতা নির্যাতনসহ ব্যক্তিগত বিষয়ের বিবাদে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে স্বামীর পক্ষে অবস্থান না নিয়ে হারুনের পক্ষে তাকে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply