রিমন রহমান:
১২ শতাংশের বেশি এখন খাদ্য মূল্যস্ফীতি। অর্থাৎ স্বাভাবিকের চেয়ে খাদ্য কিনতে ১২ ভাগ বেশি টাকা ব্যয় করছে মানুষ। বেঁচে থাকতে অনেকেই ভেঙে খাচ্ছেন সঞ্চয়। কেবল মূল্যস্ফীতিই নয়, দেশের অর্থনীতি স্বস্তিতে নেই। এলোমেলো অবস্থায় সব সূচক।
এরইমধ্যে চালু করা হচ্ছে একের পর এক মেগাপ্রকল্প। একদিকে জীবনধারণে অস্বস্তি, অন্যদিকে উন্নয়নের প্রচার— দুই দিক নিয়ে তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
এ নিয়ে যমুনা নিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। তার মতে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ‘বিশেষ গোষ্ঠী’র কাছে অসহায়।
হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, অর্থনীতিতে রাজনীতি সম্পৃক্ত হয়ে গেছে। বাজার নিয়ন্ত্রণকারী কিছু গোষ্ঠী খুবই শক্তিশালী অবস্থানে আছে। তাদেরকে নিয়ন্ত্রণে সরকারের প্রচেষ্টা কিংবা বিশ্বাসযোগ্য কোনো পদক্ষেপ দেখছি না। সরকার তাদের কাছে অসহায়। অনেক সময় বুঝা যাচ্ছে, বাজার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠীর স্বার্থ ও সরকার একাকার হয়ে গেছে।
অর্থনৈতিক শাসনের ধরনই বিপর্যয়ের কারণ বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ। বলেন, গত এক দশকে এখানে এক ধরনের শাসন মডেল তৈরি হয়েছে। ওই মডেলের কারণেই কিন্তু এখানে একজনের গোষ্ঠীর স্বার্থকে নিয়ন্ত্রণ করার চাইতে তার স্বার্থটাই রক্ষা করা সরকারের নীতি এবং নজরে প্রাধান্য পাচ্ছে। সাধারণ মানুষের স্বার্থ সেখানে প্রাধান্য পেতে দেখছি না।
ঋণনির্ভর প্রকল্প অর্থনীতিতে ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বলেও মত এই অর্থনীতিবিদের। বললেন, ঋণনির্ভর প্রকল্প অর্থনীতিতে ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক শাসন বলে এখানে যেটা বলবৎ আছে, ওইটাকে অক্ষুণ্ন রেখে অর্থনৈতিক ঝুঁকি মোকাবেলা করার বিশ্বাসযোগ্য কোনো পন্থা নেই।
সামনে নির্বাচন, ইতোমধ্যে ভোটকে কেন্দ্র শুরু হয়েছে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টা মনে করেন, নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ দরকার। একই সঙ্গে জনগণের স্বার্থ ভোটের মাধ্যমে নিশ্চিত করারও তাগিদ তার।
এ বিষয়ে হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, জনগণের ভোটাধিকার এবং রাজনৈতিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সাধারণ মানুষের স্বার্থ যেনো সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয় সেই সমাধানগুলোর সুযোগ হলো নির্বাচন। সে সুযোগ যাতে সঠিকভাবে সামনে আসতে পারে, সেদিকে নজর দেয়া প্রয়োজন।
/এনকে/এমএন
Leave a reply