উন্নয়নের প্রচার দিয়ে বিএনপির আন্দোলন মোকাবেলা করবে আ. লীগ

|

ভাস্কর ভাদুড়ী:

নির্বাচনের সাড়ে তিন মাস আগে সরকার পতনের লক্ষ্যে টানা কর্মসূচি শুরু করেছে রাজপথের বিরোধী দল বিএনপি। তবে, দলটির চূড়ান্ত হুঁশিয়ারিকে আমলে নিচ্ছে না আওয়ামী লীগ। বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণার পর ৪ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ১৫ দিনের কর্মসূচি দিয়েছে আওয়ামী লীগও।

দলটির নেতারা বলছেন, কর্মসূচির নামে সারাদেশে সন্ত্রাস ছড়িয়ে দিচ্ছে বিএনপি। রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করতে এই উসকানির ব্যাপারে মাঠে আছে আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, নির্বাচনে সমাধানের পথ হলো নির্বাচনে অংশ নেয়া। ভোটে দেখাতে হবে নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতমূলক। নির্বাচনে দেখাতে হবে সরকার অযাচিত হস্তক্ষেপ করেছে, অনধিকার হস্তক্ষেপ করেছে। সেটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে দেখাতে হবে।

আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি, জনসমর্থন না থাকায় শুধুমাত্র কর্মী ধরে রাখতেই বিএনপি কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে। দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, সাড়ে ১৪ বছরে কম করে হলেও ১৫-২০বার সরকার পতনের আন্দোলন করেছে। প্রতি বছরই তারা ঘোষণা দেয় শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা, ঈদ, কোরবানের পর সরকার পতনের। খালেদা জিয়া দেশের প্রধানমন্ত্রী হবে, ১২ তারিখ এসে তারেক রহমান বিএনপির দায়িত্ব নেবে; এরকম অনেক কথাই তারা বলে।

আওয়ামী লীগের এই নেতা জানালেন, নির্বাচন পর্যন্ত মানুষের সামনে ১৪ বছরের উন্নয়ন তুলে ধরতেই বেশি আগ্রহী তার দল।

আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, আমরা কখনোই শঙ্কাবোধ করি না। তবে, শঙ্কাবোধ করার কাজ যারা করবে, তাদেরকে জনগণ প্রতিহত করবে। জনগণের অধিকারের ওপর কেউ যদি আঘাত হানে, জনগণ তো আর ঘরে বসে থাকবে না। আর আওয়ামী লীগও দল হিসেবে জনগণের পাশে থাকবে।

প্রচারের পাশাপাশি রাজপথে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে সর্তক দৃষ্টি রাখা হবে বলেও জানান মূল দলের নেতারা।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply