নিজের ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক করে বন্ধ করার অভিযোগ দিয়ে প্রযোজক সিমি ইসলাম কলি চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও তার ইউটিউব চ্যানেলের অ্যাডমিন জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। গত সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় জিডি করেন সিমি ইসলাম কলি। প্রযোজক কলি তখন জানিয়েছিলেন, আশ্বাস দিয়েও চ্যানেল ফেরত না পাওয়ায় বাধ্য হয়েই সে সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) জিডির প্রসঙ্গে চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস এক গণমাধ্যমকে বলেন, আমার ইউটিউব চ্যানেলের অ্যাডমিন বিষয়টি দেখছেন। তিনিই (সিমি ইসলাম কলি) আমার চ্যানেলের কনটেন্ট চুরি করেছেন। চুরি করে আবার আমাদের বিরুদ্ধে জিডি করেছেন। এটি তো হাস্যকর। তার চ্যানেল সাসপেন্ড করেছে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ। এখানে আমাদের নামে অভিযোগ করা হলো কেন?
‘অপু বিশ্বাস’ এবং ‘অপু বিশ্বাস অফিশিয়াল’ নামে দুটি ইউটিউব চ্যানেলের অ্যাডমিন জাহিদুল ইসলাম। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) তিনি ভাটারা থানায় পাল্টা জিডি করেছেন বলে জানা গেছে।
জাহিদুল ইসলাম জানান, ‘অপু বিশ্বাস’ ও ‘অপু বিশ্বাস অফিশিয়াল’ চ্যানেল থেকে দুটি কনটেন্ট হুবহু কপি করে ‘এসকে ফিল্মস ইন্টারন্যাশনাল’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার করা হয়। বিষয়টি তার দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর তিনি ইউটিউব কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ পাঠান। এরপর ইউটিউব কর্তৃপক্ষ যাচাই–বাছাই করে সিমির চ্যানেল থেকে ভিডিওগুলো সরিয়ে দেয় এবং বারবার তাকে সতর্ক করে। একপর্যায়ে ইউটিউব টিম তার চ্যানেল বন্ধ করে দেয়। ব্যক্তি হিসেবে আমি কোনোভাবেই কারও চ্যানেল বন্ধ করতে পারি না।
এ ব্যাপারে সিমি ইসলাম জানান, ভিডিও দুটি আমি পাই আমাদের প্রযোজকদের একটি গ্রুপ থেকে। একদমই ভালো লাগা থেকে ভিডিও দুটি আপ করি। চ্যানেল স্ট্রাইক মেরে বন্ধ করা হলে জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলি। আমি অপু বিশ্বাসের সাথেও কথা বলি চ্যানেলের স্ট্রাইক তোলার জন্য। জিডি করার আগে কয়েক দিন জাহিদুলের পেছনে ঘুরেছেন বলে তিনি দাবি করেন। কিন্তু নানা ধরনের টালবাহানার সম্মুখীন হয়ে অবশেষে চ্যানেলটি ফিরে পেতে বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এই প্রযোজক।
/এএম
Leave a reply