২ সেলফিতেই বিএনপির রাজনীতি শেষ: ওবায়দুল কাদের

|

ছবি: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের । ফাইল ফটো

দুই সেলফিতেই বিএনপির রাজনীতি শেষ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বলেন, ভিসানীতি নিয়ে চিন্তিত নই। দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে শেখ হাসিনার জন্য। বিএনপি নির্বাচনে না আসা তাদের সিদ্ধান্ত, কিন্তু দেশে নির্বাচন হবে। ভিসানীতিতে আওয়ামী লীগের মনোবলে কোনো ঘাটতি তৈরি হয়নি।

সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় ফিরে বিমানবন্দরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যে উদ্দেশ্য নিয়ে বিএনপি আন্দোলন শুরু করেছিল তা শেষ। ভিসানীতিতে ক্ষতি তাদের।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। বিএনপির ইচ্ছায় কি নির্বাচন হবে? তাদের ইচ্ছায় কি নির্বাচন হবে না? তারা চাইলে নির্বাচন বয়কট করতে পারে। কিন্তু আমরা চাই একটি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হোক। আর তারা আসুক। তারা যদি না আসে এটি তাদের সিদ্ধান্ত। কিন্তু নির্বাচন বাংলাদেশে হবে। নির্বাচন বিরোধী যেকোনো ধরনের চক্রান্ত এদেশের জনগণ প্রতিহত করবে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অযৌক্তিকতা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীর কোনো গণতান্ত্রিক দেশ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সংকটে আছে? এই সরকারের কোনো যৌক্তিকতা বাংলাদেশে নেই। আওয়ামী লীগের নির্দেশে তো তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল হয়নি। এই ব্যবস্থা বাতিল হয়েছে উচ্চ আদালতের আদেশে। সবদেশেই নির্বাচনের সময় নির্বাচিত সরকার দায়িত্বে থাকে। আর নির্বাচন আয়োচজন করে কমিশন। সেসময় সরকার রুটিন দায়িত্ব পালন করে। এটা সারা দুনিয়ার গণতন্ত্রের নিয়ম। মির্জা ফখরুল আলাদা এক নিয়ম তৈরি করবে- এটি হবে না। যে নিয়ম মরে গেছে, মুছে গেছে, পচে গেছে সে নিয়ম চালু করতে হবে কেনো? দেশে তো আর এমন নয় যে, ৬৯ সাল কিংবা ৯০ এর মতো গণআন্দোলন আছে। কিছুই তো নেই। শান্তশিষ্ট। আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছি, তারা আজকে বিক্ষোভ করছে, আন্দোলন করছে। আন্দোলন করতে করতে সেই যে গরুর হাটে হোঁচট খেলো আর দেখা পেলাম না। এখন নামকাওয়াস্তে ডাকে পদযাত্রা, না পশ্চাতযাত্রা সেটাই বুঝি না।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি না আসার বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন এখনও অনেক দেরি। কে আসবে কে আসবে না এই মুহূর্তে এটার প্রেডিকশন করার কোনো কারণ নেই। ভোট হবে আমাদের দেশে, ভোট দেবে আমাদের দেশের জনগণ, আয়োজন করবে আমাদের নির্বাচন কমিশন। এখানে পর্যবেক্ষক আসার নিয়ম আছে। ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকা নির্বাচন পর্যব্ক্ষেণ করে থাকে। তারা আসলে আমরা তাদেরকে স্বাগত জানাই। আমাদের তো আসার দরকার ভোটার, জনগণের। আমার দরকার ভোটার উপস্থিতি। কে আসবে, কে আসবে না সেটা তাদের ব্যাপার।

পর্যেবক্ষক না আসলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের দেশের নির্বাচন যদি আমরা পর্যবেক্ষণ না করি, তাহলে গ্রহণযোগ্যতা থাকবে- এটাও বা কেমন করে ভাববো? তাদের দেশে যে, নির্বাচন হচ্ছে সেখানে আমাদের পর্যবেক্ষণের জন্য কি এত বাড়বাড়ান্ত আছে? আমাদের পর্যবেক্ষণের জন্য এত তাগিদ আছে? তারা কি বলেছে বাংলাদেশ পর্যবেক্ষণ না করলে নির্বাচন হবে না। তার মানে কি সেখানে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না। আমরাও তো বড় একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। কাজেই পর্যবেক্ষণ করা না করা সেটা তাদের নিজের ব্যাপার।

ভিসানীতি নিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার কি সন্ত্রাস করে নির্বাচন বন্ধ করেছে? বর্তমান সরকার কি আগুন সন্ত্রাস করেছে? নির্বাচন বাধাগ্রস্থ করেছে? তাহলে কেন এই সরকারের কারণে ভিসানীতি হবে? আমরা নির্বাচন চাই। বাধা দেবো কেনো? যারা বাধা দেয় এটা তাদের অসুবিধা। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বাংলাদেশ ভিসানীতি দেবে কি-না সেটা সময়ই বলে দেবে।

মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে তিনি বলেন, মরণ কামড় দেবে বলছে। মরণ কামড় দিতে গিয়ে নিজেই আবার মরে ভূত হয়ে যায় কিনা? মরণ কামড় দিতে গিয়ে নিজেরাই মরে ভূত হয়ে গেলে তখন কি হবে?

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply