আজ মিনাকে স্মরণ করার দিন

|

মিনা কার্টুন। নামটি শুনলেই শৈশবের স্মৃতি চোখের সামনে ভেসে ওঠে না, এমন মানুষের দেখা মেলা ভার। বিশেষ করে ৯০ দশকে যারা তাদের শৈশব কাটিয়েছেন, তাদের কাছে একটি হাসিমাখা নাম মিনা। হ্যাঁ, আজ সেই মিনাকেই স্মরণ করার দিন।

১৯৯৮ সাল থেকে ইউনিসেফ ঘোষিত দিবসটি দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা ও পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে উদ্‌যাপিত হয়।

মীনা একটি উচ্ছল, প্রাণবন্ত ও সাহসী মেয়ের নাম। নয় বছর বয়সী মীনা, যে কিনা তার গ্রামের বিভিন্ন সুপরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ করে।

শিক্ষা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক উন্নয়নের পাশাপাশি বাল্যবিবাহ, পরিবারে অসম খাদ্য বণ্টন, শিশুশ্রম রোধ প্রভৃতি বিষয়ে সচেতন করা ও কার্যকর বার্তা পৌঁছানোর ক্ষেত্রে ‘মীনা’ চরিত্রটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। মীনা শিশু-কিশোরদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় কার্টুন। এই কার্টুনে আরও দুটি গুরুত্বপুর্ণ চরিত্র রয়েছে। একটি হলো মীনার ভাই রাজু এবং আরেকটি তার পোষা টিয়া পাখি মিঠু।

অন্যান্য চরিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে- মীনার মা, বাবা, দাদি, ও ছোট বোন রানী, রীতা, মুনমুন, দোকানদার, মোড়ল, দিপু, শিক্ষিকা, ফুফু আম্মাসহ অনেকে।

আরবিতেও মীনা কার্টুন ডাবিং করা হয়। প্রথমে মীনার ১৩টি পর্ব বানানো হয় এবং তা প্রচার করা হয় সার্কভুক্ত সাতটি দেশের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে। কার্টুনটির অসম্ভব সুন্দর ও জনপ্রিয় গানটি রচনা করেছেন প্রখ্যাত গীতিকার আরশাদ মাহমুদ এবং ফারুক কায়সার। আর গানে পরিচিত মিষ্টি কণ্ঠটি দিয়েছেন সুষমা শ্রেষ্ঠা।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply