দলগুলোর সদিচ্ছার পাশাপাশি জোরালো ভূমিকা প্রয়োজন ইসিরও, বলছেন বিশেষজ্ঞরা

|

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন ঘনিয়ে আসলেও রাজনৈতিক সংকটের সমাধান হয়নি এখনও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দলগুলোর সদিচ্ছার পাশাপাশি প্রয়োজন ইসির আরও জোরালো ভূমিকা। তাদের মতে, ইসির আইনি ক্ষমতার পাশাপাশি প্রায়োগিক সদিচ্ছার ঘাটতি রয়েছে।

আগারগাঁও থেকে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা। এর মাধ্যমে শুরু হবে ভোটের কাউন্টডাউন। ছুট দেবে ইলেকশন এক্সপ্রেস। সেই যাত্রায় সওয়ার হওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। উন্নয়নের ডাকঢোল পিটিয়ে চলছে ভোটার টানার সব আয়োজন। যদিও এই ভোটযাত্রায় সঙ্গী হতে অস্বীকার করেছে অন্যতম বড় নিয়ামক বিএনপি।

উল্টোরথে চলা বড় দুই দলের এমন আচরণে অনিশ্চিত আতঙ্কে সাধারণ মানুষ। সংঘাত, ভোগান্তির আশঙ্কা উঁকি দেয় দৈনন্দিন চিন্তায়। দিনের পর দিন যদি একই দিনে দুই দলের কর্মসূচি দেয়া হয়, তাহলে সংঘাতের সৃষ্টি হতে পারে বলে একজন নাগরিক শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। আরেক জন জানিয়েছেন, আমরা জনগণ হিসেবে সবই দেখি, কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারি না। বলার সাহস বা ক্ষমতা আমাদের নেই।

সংবিধানের কাটাছেড়ায় নির্বাচনী সুবিধাভোগী ও সুবিধাবঞ্চিতের ফারাক বেড়েছে বিভিন্ন সময়ে। দিনশেষে হানাহানি, রাজপথে রক্তের লড়াই কি তবে সমাধানের একমাত্র পথ?

নির্বাচন বিশ্লেষক মুনিরা খান বলেন, ভুবন চন্দ্র শীলের ঘটনাটা আমরা দেখেছি। দুই গ্রুপের বিরোধের জেরে গুলি খেয়ে মারা গেলেন ভুবন। এরকম অবস্থা হলে আমি কি ভোট দিতে গিয়ে গুলি খেয়ে মরব? সরকারকে জানান দিতে হবে জনগণকে যে, ভোটের পরিবেশ নিরাপদ। মানুষ যেন সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে।

নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, নির্বাচনে ‘আমি’ কীভাবে জিততে পারি, তা নিয়ে আমাদের হাঙ্গামা। আমাদের হাঙ্গামা নির্বাচনের আসল বিষয়বস্তু নিয়ে নয়। ভোটে অপরাধ হলো ক্রিমিনাল অফেন্স, কিন্তু মোরাল অফেন্স নয়। নৈতিকভাবে এটিকে আমরা অপরাধ মনে করি না।

পক্ষপাতহীন কঠোর সিদ্ধান্তের জন্য সুনাম কুড়িয়েছে প্রতিবেশী ভারতের নির্বাচন কমিশন। কারো কারো মত, বাংলাদেশেও ইসির হাতে ক্ষমতা কম নয়, রয়েছে সদিচ্ছার ঘাটতি। কিন্তু দ্বিমত করছেন নিবাচন বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল। তিনি বলেন, সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে গেলে যে পরিবেশ প্রয়োজন, যে সহায়ক আইনের প্রয়োজন, সেগুলো তো নেই এখানে।

মুনিরা খান বলেন, তারা যদি নিজেদের স্বার্থে দেশের স্বার্থকে নষ্ট করে, আমি এটাকে ঠিক মনে করি না। ক্ষমতা আছে কিন্তু প্রয়োগের সাহস নেই। নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো ট্রান্সপারেন্সি। নির্বাচন কমিশনকে হতে হবে ট্রান্সপারেন্ট। জনগণের ভোট নিতে গিয়ে জনমানুষের ভোগান্তি না বাড়ানোর আহবান নাগরিক সমাজের।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply