তামিম ইকবাল ইস্যুতে নয়, বরং বিশ্বকাপগামী দলের সঙ্গে না থাকায় আবেগের বশে ড্রেসিংরুম ছেড়েছিলেন নাফিস ইকবাল। সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি। সেই সঙ্গে বিসিবির চাকরি ছাড়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করেন তিনি।
ছোট ভাই তামিম ইকবালের বিশ্বকাপে না যাওয়া নিয়ে যখন সরব ক্রিকেট পাড়া, সেখানে অনেকটা নিরবে লজিস্টিকস ম্যানেজারের দ্বায়িত্ব ছাড়লেন বড় ভাই নাফিস ইকবাল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩য় ওয়ানডে চলাকালেই ড্রেসিংরুম ছাড়েন তিনি। মূলত বিশ্বকাপ দলের সঙ্গে যেতে না পারার খবরে এমন সিদ্ধান্ত নেন তিনি। দেন রহস্যময় পোস্ট। এ নিয়ে সমর্থকরা যখন দুইয়ে দুইয়ে চার মেলানোর সমীকরণে ব্যস্ত, তখন নাফিস ইকবাল নিজেই জানালেন, ছোট ভাই তামিম ইকবালের সাম্প্রতিক ঘটনার সঙ্গে তার ড্রেসিংরুম ছাড়ার কোন যোগসূত্র নেই।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্টে করা এক পোস্টে নাফিস বলেন, আমি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে চলাকালীন আবেগের বশে জাতীয় দল ছেড়ে চলে যাই। ২৬ সেপ্টেম্বর সকালে জানতে পারি যে, বিশ্বকাপে আমার যাওয়া হচ্ছে না। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেও এরকম ঘটনা ঘটেছিল। তিনি লেখেন, তিনিও মানুষ, বাকি সবার মতো তারও আবেগ আছে।
তিনি ফেসবুক পোস্টে আরও বলেন, আমি অবশ্যই বিসিবি থেকে পদত্যাগ করিনি এবং আমার ছোট ভাই তামিম ইকবালের চলমান পরিস্থিতির সঙ্গেও আমার এই পদক্ষেপের কোনো সম্পর্ক ছিল না। আমার মাঠ থেকে বিদায় নেয়ার ৬/৭ ঘন্টা পর বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করা হয়।
এর আগে, ম্যাচ চলাকালীন নাফিস ইকবালের ড্রেসিংরুম ছেড়ে যাওয়ার ঘটনাকে অপেশাদারি আচরণ বলেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। গণমাধ্যমের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেছেন, আমি জানি না, সত্যিই খেলার মাঝখানে তিনি (নাফিস) চলে গেছেন কিনা। আসলেই যদি তিনি এটা করে থাকেন, তাহলে খুবই আনপ্রফেশনাল। তার দিক থেকেও, বিসিবির দিক থেকেও। আমি তো ভাবতেই পারি না, একজন ম্যাচ ছেড়ে চলে যাচ্ছে। যে কারও ক্ষেত্রেই। বিসিবি যে একটা ভুল ডিসিশন নিয়েছে, এটা তার বড় প্রমাণ।
শুধু নাফিস ইকবাল ইস্যু নয়, তামিম ইকবালের সঙ্গে তার দ্বন্দ্বের খবর মিডিয়ায় প্রকাশ করায় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সমালোচনাও করেন সাকিব আল হাসান।
/এএম
Leave a reply