আখলাকুস সাফা:
ডেঙ্গুর শক সিনড্রোমে ১ সপ্তাহের ব্যবধানে ৫ শতাংশ মৃত্যুহার বেড়েছে দেশে। গত সপ্তাহে ডেঙ্গুর পর শক সিনড্রোমের কারণে মাল্টিপল অর্গান ফেইলিওর হয়ে প্রাণ গেছে ৮১ ভাগ রোগীর। ৩১ থেকে ৩৫ বছর বয়সী রোগীরা মারা গেছে বেশি। এদিকে, শেষ কয়েকদিনের বৃষ্টির ফলে ডেঙ্গু আক্রান্তের হার আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন কীটতত্ত্ববিদরা। তারা বলছেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
বর্তমানে দৈনিক ৩ হাজার রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। গড় মৃত্যু দিনে ১৫ জন। ১৭ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর প্রাণ গেছে ৮৯ জনের। তাদের মধ্যে ৭২ জন অর্থাৎ ৮১ ভাগেরই মৃত্যু হয় ডেঙ্গুর শক সিনড্রোমে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৭৬ শতাংশ। হাসপাতালে ভর্তির ৩ দিনের মধ্যে মারা যান ৮৭ শতাংশ। যাদের ৬৩ ভাগের প্রাণ যায় ভর্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে।
জনস্বাস্থ্য বিশ্লেষক ডা. শেখ মঈনুল খোকন বলেন, আক্রান্তের যতো সময় যাবে ততোই ডেঙ্গুর জটিলতা বাড়তে থাকবে। এ কারণে বর্তমানে আক্রান্তের হার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেই সাথে মৃত্যু হারও দ্রুত বেড়ে চলেছে। শক সিনড্রোমের কারণে মৃত্যুর হার এখন অনেক বেশি।
শেষ সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি প্রাণ গেছে ৩১ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের। গত কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে ১৫ দিন পর আক্রান্তের হার আবারও বাড়বে বলে জানিয়েছেন কীটতত্ত্ববিদরা। এ নিয়ে কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. আবু ফয়েজ মো. আসলাম বলেন, মশার ভেতর ভাইরাসের রেপ্লিকেশন বৃদ্ধি পায়। বৃষ্টি, তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা এই ত্রিমুখী সমস্যার কারণে আমরা ডেঙ্গুর এই প্রবল প্রাদুর্ভাব থেকে খুব সহজে মুক্তি পেতে যাচ্ছি বলে মনে হয় না।
এরই মধ্যে ডেঙ্গু মৃত্যুতে ব্রাজিলকেও ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। আশঙ্কা করা হচ্ছে, মশা নিধন করতে না পারলে এবছর মৃত্যু ছাড়িয়ে যেতে পারে দেড় হাজার।
এসজেড/
Leave a reply