ডিম, আলু ও পেঁয়াজের দাম বেঁধে দেয়ার ১৪ দিন পার হলেও সেই নির্দেশনার বাস্তবায়ন নেই বাজারে। বাড়তি দামেই এসব পণ্য কিনতে বাধ্য হচ্ছেন ক্রেতারা।
তাদের অভিযোগ, বিক্রেতারা নানা অজুহাতে দাম কমাতে রাজি নন। অন্যদিকে, ব্যবসায়ীদের দাবি, বেঁধে দেয়া দরে পাইকারি পর্যায়ে পণ্য পাচ্ছেন না তারা।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ভোক্তা পর্যায়ে এক হালি ডিমের দাম হবে সর্বোচ্চ ৪৮ টাকা। কিন্তু রাজধানীর বনানী বাজারে দেখা যায়, প্রতি হালি ডিমের জন্য গুণতে হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা।
ক্রেতারা বলছেন, সরকার শুধুমাত্র দাম বেধে দিয়েছে। কিন্তু তদারকি না থাকায় হাত বদলে দাম বাড়ছে।
এছাড়া, আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের নানামুখী উদ্যোগ এবং হিমাগারে তদারকি— কোনো কিছুই স্বস্তি দিতে পারছে না। রাজধানীর অধিকাংশ বাজারে আলুর কেজি ৫০ টাকা।
আমদানির পর বাজারে পেঁয়াজের যোগান বেড়েছে। তবুও দাম কমছে না। কেজিপ্রতি দেশি জাতের জন্য গুণতে হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা। আর দেশি হাইব্রিড পেয়াজের দাম ৫ টাকা কম। দরে ঝাঁঝ ছড়াচ্ছে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজও।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব বলছে, বছরের ব্যবধানে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৮৯ শতাংশ। আর দেশি পেয়াজের ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৯৩ শতাংশ।
/এমএন
Leave a reply