বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আবেদনের বিষয়ে রোববার মতামত দেবে আইন মন্ত্রণালয়। শনিবার যমুনা টেলিভিশনকে এই তথ্য জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
আইনমন্ত্রী বলেন, বৃহস্পতিবার ঈদে মিলাদুন্নবীর বন্ধ ছিল, শুক্রবার সরকারি ছুটি। এ বিষয় আটকে রাখবো না। আগামীকালই মতামত জানিয়ে দেয়া হবে।
এর আগে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এ প্রসঙ্গে জানান, খালেদা জিয়া কয়েকটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে বাসায় থেকে চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ দিয়েছিলেন। খালেদা জিয়ার ভাই আবেদন করেছিলেন। এ বিষয়ে আইনি জটিলতা রয়েছে, তাই আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। আইনের মধ্যে থেকে যা হবে সেটাই করা হবে। আইনের বাইরে আমার কিছু করার সুযোগ নেই।
গত ২৫ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠাতে সরকারের কাছে চিঠি দিয়েছেন তার ভাই শামীম ইস্কান্দার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই চিঠি দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, দুই-তিন দিন আগে শামীম ইস্কান্দার সাহেব এসেছিলেন। আমার কাছে চিঠি দিয়েছেন। আইনি জটিলতার কারণে চিঠিটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি।
টানা এক মাসের বেশি সময় ধরে খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ৯ আগস্ট তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে গত ১২ জুন এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার সাজা হয়। সেদিন থেকে প্রায় দুই বছর কারাবন্দী ছিলেন তিনি। এছাড়া জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আরও সাত বছরের সাজা হয় খালেদা জিয়ার। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ করোনা মহামারির শুরুতে তার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দিয়েছিল সরকার। এরপর থেকে তার মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস করে বাড়ানো হচ্ছে।
Leave a reply