ফিলিস্তিনি বন্দির সাথে যৌনতা, নারী কারারক্ষী নিষিদ্ধ করলো ইসরায়েল

|

ফিলিস্তিনি এক পুরুষ বন্দির সাথে যৌন সম্পর্কের অভিযোগে সুরক্ষিত কারাগারের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে নারী সৈন্যদের নিষিদ্ধ করলো ইসরায়েল। এর আগে গত বছর, ইসরায়েলের একটি সুরক্ষিত কারাগারে আটক এক ফিলিস্তিনি বন্দির সাথে নারী কারারক্ষীর যৌন সম্পর্কের অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) আইপিএস প্রধান ক্যাটি পেরি এবং জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী ইতামার বেনগভির ইসরায়েলি নারী কারারক্ষীদের সুরক্ষিত কারাগারে দায়িত্বে থাকার ওপরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। খবর বিবিসির।

ইসরায়েলের গণমাধ্যম জানায়, এক ফিলিস্তিনি বন্দি ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছে এক ইসরায়েলি নারী কারারক্ষী। জানা গেছে, অভিযুক্ত ওই নারী ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। ইসরায়েলের আইন অনুযায়ী বেশিরভাগ নাগরিককেই বাধ্যতামূলকভাবে সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে হয়। এক্ষেত্রে মহিলাদের কমপক্ষে ২৪ মাস এবং পুরুষদের ৩২ মাস কাজ করতে হয়। তাই ধারণা করা হচ্ছে সামরিক বাহিনীর দায়িত্বে থাকা অবস্থায় এই ঘটনা ঘটেছে।

অভিযুক্ত ওই ইসরায়েলি নারী কারারক্ষী ও ফিলিস্তিনি বন্দির নাম প্রকাশ করা হয়নি। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন থাকায় কারাগারের অবস্থানসহ এই অন্যান্য সকল তথ্য প্রকাশ না করার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ইসরায়েলি গণমাধ্যমের বরাতে আরও জানা গেছে , জিজ্ঞাসাবাদে একজন ফিলিস্তিনের সাথে শারীরিক সম্পর্কে থাকার কথা স্বীকার করেছে গ্রেফতারকৃত ওই নারী। তবে তিনি দাবি করেছেন, তিনি একা নন, আরও চার মহিলার সাথে ওই বন্দির শারীরিক সম্পর্ক ছিল।

ইসরায়েল কারা কর্তৃপক্ষ (আইপিএস) জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের আগেই ফিলিস্তিনি ওই বন্দিকে তার সেল থেকে সরিয়ে অন্য শাখায় স্থানান্তর করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের আলোচিত এই যৌন কেলেঙ্কারি জানাজানি হওয়ার পরে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল ইসরায়েল প্রশাসন। যেখানে অভিযোগ ছিল, ফিলিস্তিনি বন্দিরা কারারক্ষী নারী সৈন্যদের লাঞ্ছিত ও ধর্ষণ করছে।

/এমএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply