চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) কিস্তির টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মর্জিনা খাতুন (৩৪) নামে এক নারীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার বাবা। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় মর্জিনা খাতুনের মেয়ে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী রোকসানা খাতুনকে (১৩) কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আহত রোকসানাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভোর ৪টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মর্জিনা খাতুন দামুড়হুদা উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের আজিজুল হকের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, স্বামী মর্জিনা খাতুন বাবার বাড়িতেই বসবাস করতেন। তার দুই ছেলে-মেয়ে রয়েছে। দরিদ্র হওয়ায় বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) থেকে যৌথভাবে ঋণ নিয়ে বাড়ি নির্মাণ করেন আজিজুল হক ও তার মেয়ে মর্জিনা খাতুন। শনিবার রাতে ঋণের কিস্তির টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে রাত ২টার দিকে ঘুম থেকে ডেকে মর্জিনা খাতুনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন বাবা আজিজুল হক। মাকে ঠেকাতে এগিয়ে আসলে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয় শিশু রোকসানা। পরে মর্জিনা ও তার মেয়ে রোকসানাকে দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেন স্থানীয়রা।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হাসপাতালে নেয়ার আগেই মারা যান মর্জিনা খাতুন। আহত রোকসানাকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবীর বলেন, মর্জিনা খাতুনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনার পর পালিয়ে গেছে ঘাতক আজিজুল। তাকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।
এএস/
Leave a reply