খালেদার বিদেশে চিকিৎসার দাবি; আ. লীগ নেতাকে শোকজ

|

ফাইল ছবি

বাউফল (পটুয়াখালী) করেসপন্ডেন্ট:

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব হাওলাদারকে দল থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। সোমবার (২ অক্টোবর) জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান এই নোটিশ দেন।

নোটিশে আগামী তিনদিনের মধ্যে তাকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। এর আগে গত শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার ব্যক্তিগত প্রোফাইল থেকে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দেয়ার দাবি জানিয়ে স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘রাজনৈতিক কারণে আইন পরিবর্তন করে হলেও বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ করে দেয়া হোক। (মন্তব্য না করার জন্য বিনীত অনুরোধ)।’

স্ট্যাটাসের পর ‍শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। সোমবার রাত পর্যন্ত তার স্ট্যাটাসের নিচে ৭০০ টির বেশি কমেন্ট পড়েছে। শেয়ার হয়েছে শতাধিক এবং এক হাজার ২০০টির বেশি লাইক পড়েছে। বিএনপির অনেকে তার দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে মন্তব্য করেন। মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানান ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর হোসেন বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে । তিনি এমন মন্তব্য করতে পারেন না। এটি দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থী। জবাব সন্তোষজনক না হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিষয়টি সম্পর্কে আব্দুল মোতালেব হাওলাদার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পুনরায় একটি স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি ঘটনার ব্যাখা দিয়েছেন।

নতুন স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, আমাদের প্রিয় নেত্রী আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে মানবতার মা হিসেবে আমি এবং দেশবাসী জানে। এ চিন্তা মাথায় রেখেই বিএনপিনেত্রী খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর কথা বলেছি। আমি ভেবেছি খালেদাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠালে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা, দল এবং সরকার উভয়েরই ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে এই চিন্তায় স্টাটাসটি দিয়েছি ।

তার স্ট্যাটাসটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ভিন্নখাতে নেয়া হচ্ছে দাবি করে নতুন স্ট্যাটাস আরও লেখেন, বরিশাল বিএম কলেজের ভিপি থাকা অবস্থায় ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা নিহত হলে যিনি বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর করেছে, আনন্দ মিছিল করেছে, মিষ্টি বিতরণ করেছে, তার কিছু অনুসারী ষ্টাটাসটিকে ভিন্নখাতে নিয়ে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি দূর করার জন্যই এই লেখাটি।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply