চলতি বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিনজন। এই তিন নোবেল জয়ীরা হলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটির পিয়েরে আগুস্তিনি, জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট অব কোয়ান্টাম অপটিকসের ফেরেন্স ক্রাউস এবং সুইডেনের লন্ড ইউনিভার্সিটির অ্যানি এল’হুলিয়ার। ইলেকট্রন গতিবিদ্যার অধ্যায়নে ‘অ্যাটোসেকেন্ডে আলোর স্পন্দন’ বের করার ফর্মুলা আবিষ্কারের জন্যই তারা এ সম্মাননা পেলেন। খবর আল জাজিরার।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রয়েল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্স তাদের নাম ঘোষণা করেছে। পুরস্কার হিসাবে বিজয়ী তিনজন পাচ্ছেন মোট এক কোটি ১০ লাখ ক্রোনার (৯ লাখ ৮৬ হাজার মার্কিন ডলার)।
রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মানবতাকে পরমাণু ও অণুর ভেতরে ইলেক্ট্রনের জগত অন্বেষণের জন্য নতুন রসদ জুগিয়েছে এই তিনজনের গবেষণা। যেখানে ইলেক্ট্রনগুলো চলে বা শক্তি পরিবর্তন করে, সেখানে আলোর অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত স্পন্দন তৈরি করার একটি উপায় তারা উদ্ভাবন করেছেন, যা দ্রুত প্রক্রিয়াগুলো পরিমাপে ব্যবহার করা যেতে পারে।
এর আগে, সোমবার (২ অক্টোবর) চিকিৎসাবিজ্ঞানে যৌথভাবে দুজন বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা করে নোবেল কমিটি। তারা হলেন, ক্যাটালিন কারিকো ও ড্রু ওয়েইসম্যান। মূলত কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন ক্যাটালিন কারিকো ও ড্রু ওয়েইসম্যান। বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে এমআরএনএ টিকার বিকাশে সহায়ক নিউক্লিওসাইড বেস পরিবর্তনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের কারণে এই স্বীকৃতি পেলেন তারা।
আগামী ৫ অক্টোবর সাহিত্যে ও ৬ অক্টোবর শান্তিতে নোবেল বিজয়ীদের নাম জানা যাবে। মাঝে দুদিনের বিরতি দিয়ে সোমবার (৯ অক্টোবর) শেষদিন ঘোষণা করা হবে অর্থনীতিতে নোবেলজয়ীর নাম। অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ হবে চলতি বছরের মোট ছয়টি শাখায় নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা।
উল্লেখ্য, বিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে বিশেষ অবদানের জন্য ছয়টি ক্যাটাগরিতে প্রতি বছর নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়ে থাকে। প্রতিবছর চিকিৎসাবিজ্ঞান ক্যাটাগরি দিয়ে জয়ীদের নাম ঘোষণার শুরু করে নোবেল কমিটি। নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণা হয় নরওয়ে থেকে। সাহিত্য ও অর্থনীতির মতো অন্য পুরস্কারগুলো সুইডেন থেকে ঘোষণা করা হয়।
১৯০৫ সালে নোবেল পুরস্কার প্রদান শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত চিকিৎসা ক্ষেত্রে ১০৯ বার নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে। তবে কমিটি বরাবরই পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম-পরিচয় গোপন রেখে আসছে।
১৮৯৫ সালের নভেম্বরে আলফ্রেড নোবেল নিজের মোট উপার্জনের ৯৪ শতাংশ (৩ কোটি সুইডিশ ক্রোনার) দিয়ে তার উইলের মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করেন। এই বিপুল অর্থ দিয়েই শুরু হয় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান। ১৯৬৮ সালে তালিকায় যুক্ত হয় অর্থনীতি। অবশ্য পুরস্কার ঘোষণার আগেই মৃত্যুবরণ করেছিলেন আলফ্রেড নোবেল।
এসজেড/
Leave a reply