মুন্সিগঞ্জ করেসপন্ডেন্ট:
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে অটোচালক নেকবর হোসেন (২২) হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। নিহতের আপন মামা জাবেদ (৩৭) ও তার সহযোগী মিলে তাকে হত্যা করে। এরপর নেকবর হোসেনের মরদেহ ফেলে রেখে তার অটোরিকশাটি হত্যাকারীরা নিয়ে যায়।
বুধবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিরাজিদখান সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মুস্তাফিজুর রহমান রিফাত।
পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, নিহত নেকবর কোরআনের হাফেজ ছিলেন। ঘটনার দিন রাতে সর্বশেষ তার মামা জাবেদের সাথে ফোনে কথা হয় তার। সেই ফোনকলের সূত্র ধরে জাবেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় তার কথায় অসঙ্গতি পাওয়া যায়। পরে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগীকে নিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে সে।
পুলিশ আরও জানায়, মূলত অর্থসংকটের কথা বলে ভাগ্নে নেকবরকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যান মামা জাবেদ। সেখানে পরিকল্পিতভাবে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে করে তাকে হত্যা করা হয়। ছিনিয়ে নেয়া হয় তার অটোরিকশাটি। পরবর্তীতে সিরাজদিখানের কৃষ্ণনগর এলাকার শাহাজালালের (২৭) কাছে ৩৫ হাজার টাকায় অটোরিকশাটি বিক্রি করে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে জাবেদ (৩৭) ও তার সহযোগী রেজাউলকে (২৭) গ্রেফতার করে পুলিশ। পরবর্তীতে ছিনতাই করা অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়। অটোরিকশার ক্রেতা শাহজালালকেও আটক করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত রোববার (১ অক্টোবর) রাতে নিখোঁজ হন নেকবর হোসেন। পরদিন সোমবার (২ অক্টোবর) সকালে সিরাজদিখানের বালুচর খাসকান্দি এলাকার একটি ইটভাটা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে উপজেলার চর গুলগুলিয়া এলাকার মৃত শাহজাহান মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই তোফাজ্জেল হোসেন সিরাজদিখান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
/আরএইচ/এমএন
Leave a reply