গত সপ্তাহে ডেঙ্গুতে মৃতদের বেশিরভাগই ২৬-৩০ বছর বয়সী

|

আখলাকুস সাফা:

ডেঙ্গুতে প্রাণ হারানোর নতুন সমীক্ষা সামনে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, গত সপ্তাহে ডেঙ্গুজ্বরে মৃতদের বেশিরভাগেরই বয়স ছিল ২৬ থেকে ৩০ বছর। আক্রান্তের ক্ষেত্রেও ২১ থেকে ২৫ বছর বয়সীরাই সংখ্যা বেশি। চিকিৎসকরা বলছেন, এই বয়সীদের উপসর্গ কিছুটা বিলম্বে বোঝা যায়। তাই হাসপাতালে আসতে দেরি করেছে আক্রান্তদের বেশিরভাগ। এজন্য অল্প সময়ে ডেঙ্গুর শক কাটিয়ে ওঠা যায়নি। ডেঙ্গু থেকে যারা সুস্থ হয়েছেন তাদের একটু বেশি সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

সরেজমিনে হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ড ঘুরে বারবারই নজরে আসে এই বয়সী রোগীদের। তাদের বেশিরভাগের উপসর্গই হলো মাথা ও পেটে ব্যথা। বেশিরভাগেরই জ্বর আসে দেরিতে, তাই ডেঙ্গু পরীক্ষাও হয় বিলম্বে। আক্রান্তরা বলছেন, মাথা ও পেট ব্যথার পাশাপাশি ঘন ঘন বমিও হচ্ছে তাদের।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, ২৪ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯৬ জন। তাদের প্রায় ১২ শতাংশের বয়স ২৬ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। আক্রান্তেও বেশি ছিল ২১ থেকে ২৫ বছর বয়সীরা।

চিকিৎসকরা জানান, বেশিরভাগ রোগিরই হাসপাতালে আসতে দেরি হয়েছে। রোগিদের দেয়া প্রাথমিক তথ্য বলছে, অনেকেরই উপসর্গ দেখা দেয় তুলনামূলক দেরিতে।

এনিয়ে ডিএনসিসি ডেডিকেটেড হাসপাতালের পরিচালক কর্নেল ডা. এ কে এম জহিরুল হোসাইন খান বলেন, ৩৮ জন রোগির মধ্যে ৩১ জনই মারা গেছে হাসপাতালে আনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। অনেক রোগিই অচেতন বা অনেক বেশি খারাপ শারীরিক অবস্থায় এসেছে হাসপাতালে। তাই এই পরিস্থিতি মোকাবেলা আসলেই চ্যালেঞ্জিং।

এদিকে, মোট আক্রান্তের ৯৫ ভাগই সুস্থ্য হচ্ছেন বলে জানা গেছে। সুস্থ্য হতে সময় লাগছে গড়ে ৫ দিন। তবে সুস্থদের আরও বেশি সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়ে কর্নেল ডা. এ কে এম জহিরুল হোসাইন খান বলেন, ডেঙ্গুতে একটি ভ্যারিয়েন্টে কেউ আক্রান্ত হলে তার শরীরে ওই ভ্যারিয়েন্টের বিরুেদ্ধ একটি প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। ফলে ওই ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা আর আক্রান্ত হয় না। কিন্তু ডেঙ্গুর দ্বিতীয় ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হলে তার উপসর্গ তীব্র হয়।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply