সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের উপস্থিতি বাড়ছে। কিন্তু এটিই যেন স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছেন না ইসি কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। গণমাধ্যমকর্মীদের অভিযোগ, নির্বাচন পরিচালনা কাজের সংশ্লিষ্ট ডেস্কের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের দেখলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। অভিযোগের তীর সবচেয়ে বেশি ইসি সচিব জাহাংগীর আলমের দিকে। তার দুর্ব্যবহারের শিকার হয়েছেন নির্বাচন কমিশন বিটের একাধিক সাংবাদিক।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে প্রস্তুতিমূলক সভা করে ইসি। বৈঠকের শুরুতে ভিডিও জার্নালিস্টরা কক্ষে প্রবেশের ছবি নিতে গেলে ক্ষেপে যান ইসি সচিব। সাংবাদিকদের মিডিয়া সেন্টারে যাওয়ার কথা বলেন তিনি। ইদানীং প্রায়ই এমন অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ সাংবাদিকদের।
সভা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের কক্ষে প্রবেশ করেন উপস্থিত সাংবাদিকরা। সিইসি তাদের জানান, ইসি সচিব কথা বলবেন। এ বিষয়ে মো. জাহাংগীর আলমকে নির্দেশনাও দেন সিইসি। এরপর গণমাধ্যমকর্মীরা সচিবের কক্ষে গেলেও কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান তিনি ।
সিইসির বলার পরেও ব্রিফিং না করার বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, এটা তার ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মধ্যকার বিষয় ছিল।
নির্বাচন ভবনে কাজ করা সাংবাদিকদের সংগঠন আরএফইডি’র (রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি) নেতৃবৃন্দের অভিযোগ, অহেতুক আতঙ্কের কারণে সচিবসহ অন্য কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রায়শই দুর্ব্যবহার করছেন। এ নিয়ে একাধিকবার তারা কমিশন সদস্যদের বৈঠক করেছেন। কিন্তু কোনো সমাধান হচ্ছে না।
আরএফইডির সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, সামনেই জাতীয় নির্বাচন। এমন সময় ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের অসহিষ্ণু আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়। ইসি সচিবের এমন আচরণ স্বাধীন সাংবাদিকতার পথে বাধা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জাহাংগীর আলম বলেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে অভদ্র আচরণের অভিযোগ সত্য নয়। তার দাবি, তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথাই বলেননি, দুর্ব্যবহার কীভাবে হবে?
ইসি সচিব বলেন, কমিশন সদস্যদের কক্ষের সামনে একাধিক চ্যানেলের ক্যামেরা তাক করে রাখা হয়। এতে কমিশন সদস্যরা অস্বস্তি বোধ করেন। এ বিষয়টি আরএফইডির নেতাদের এবং সংশ্লিষ্ট টিভি চ্যানেলের প্রতিনিধিদের বারবার বলা হয়েছে। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।
এ প্রসঙ্গে আরএফইডি সভাপতির বক্তব্য, নির্বাচনের আগে প্রস্তুতির সংবাদ বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সংগ্রহ করেন গণমাধ্যমকর্মীরা। তাদের উপস্থিতিও কয়েকগুণ বেড়ে যায়। কিন্তু কখনো অপেশাদার আচরণ করেনি গণমাধ্যমকর্মীরা।
Leave a reply