দেখতে বেশ নিরীহ আর আদুরে এই হলদে-কালো রঙের জামার্ন শেফার্ড। বেশ আদরে যত্নেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে দিন কাটছিলো তার। দেখতে যতোটা নিরীহ, স্বভাবে ঠিক তার উল্টো এই জার্মান শেফার্ড। একে একে কামড়েছে ১১ জন সিক্রেট এজেন্টকে। একজনকে তো রীতিমতো ঘুরে আসতে হয়েছে হাসপাতাল থেকেও। তবে শুধু সিক্রেট এজেন্টদের কামড়েই ক্ষান্ত হয়নি সে। বাইডেনের পোষ্য কুকুর ‘কমান্ডার’ কামড়েছে হোয়াইট হাউজের একাধিক কর্মচারীকেও।
পাগলাটে এ আচরণের জন্য ঘরছাড়া হতে হয়েছে কুকুরটিকে। বুধবার (৪ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে এমনই তথ্য জানান ফার্স্ট লেডির মুখপাত্র এলিজাবেথ আলেক্সান্ডার। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডি, মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস ও এর সাথে জড়িত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ। হোয়াইট হাউজের প্রত্যেক কর্মচারী, রক্ষী থেকে শুরু করে সবার নিরাপত্তার বিষয়ে যত্নশীল তারা। ‘কমান্ডার’ এখন তাই হোয়াইট হাউজ ক্যাম্পাসে নেই। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রেও এই বিষয়গুলো মাথায় রাখা হবে।
গত জুলাইয়ে এক সিক্রেট এজেন্টকে কামড়ানোর পর ‘কমান্ডার’কে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা বলেছিলেন কর্মকর্তারা। যা আদতে কোনো কাজে আসেনি। হোয়াইট হাউজের পরিস্থিতি ও পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারেনি কুকুরটি। তাই এমন ক্ষ্যাপাটে আচরণ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে এ প্রসঙ্গে বলেন, হোয়াইট হাউজের পরিবেশ সবসময় অনেক স্ট্রেসফুল। সবার জন্যই এর পরিবেশ বেশ গুমোট। সেখানে, সামান্য একটি প্রাণীর ওপর এর প্রভাব কেমন হতে পারে, তা কল্পনা করা কঠিন নয়।
কমান্ডারের আগে জো বাইডেন ‘মেজর’ নামে আরেকটি জামার্ন শেফার্ড পালতেন। সেটিও একাধিকবার কামড়েছে আশপাশের মানুষকে।
/এএম/এটিএম
Leave a reply