বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে বাস ডে লিডের বোলিং তোপে ১ ওভার বাকি থাকতেই ২৮৬ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। ডাচ বোলার বাস ডে লিডে একাই নেন ৪ উইকেট। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন সৌদ শাকিল ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। জয়ের জন্য নেদারল্যান্ডসের প্রয়োজন ২৮৭ রান
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) হায়দরাবাদের রাজিব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন ডাচ অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। ব্যাটিং নেমে শুরতেই ওপেনার ফাখার জামানকে হারায় পাকিস্তান। ১২ রান করা পাক ওপেনার ফখরকে ফেরান লোগান ভ্যান বেক।
এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেনি অধিনায়ক বাবর আজমও। তৃতীয় বোলার হিসেবে আক্রমণে এসেই পাকিস্তান অধিনায়ক বাবরকে ফেরান কলিন অ্যাকারম্যান। ডাচ স্পিনারের বলে আউট হওয়ার আগে মাত্র ৫ রান করেন বাবর। ৪ রানের ব্যবধানে তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে সাজঘরে ফিরে যান আরেক ওপেনার ইমাম। ১৫ রান করে ডাচ পেসার পল ভ্যান মিকেরেনের বলে থার্ডম্যানে ক্যাচ দেন এই বাঁহাতি ওপেনার।
এরপর রিজওয়ান ও শাকিল শুরুর চাপ সামাল দেন। পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক ব্যাটার রিজওয়ান খানিকটা দেখেশুনে খেললেও ডাচ বোলারদের উপর রীতিমতো তাণ্ডব চালান শাকিল। মাত্র ৩২ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অর্ধশতক তুলে নেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। অন্যপ্রান্তে থাকা ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ানও তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৩তম ফিফটি। এই দুই ব্যাটারের নৈপুণ্যে শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে উঠে পাকিস্তান।
এরপর ফের ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় পাকিস্তান। একটা সময়ে ৩ উইকেটে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ১৫৮ রান। পরের ৩৮ রানে পাকিস্তান হারায় আরও ৩ উইকেট। ৫২ বলে ৯টি চার আর এক ছক্কায় ৬৮ রান করে ফেরেন সৌদ শাকিল। শাকিলের বিদায়ের পর আউট হন রিজওয়ানও। পাকিস্তানের উইকেটকিপারও করেন ৬৮ রান। ক্রিজে এসে দ্রুতই বিদায় নেন ইফতিখার আহমেদ। বাস ডি লিডের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ ফেরেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। এরপর জুটি গড়েন শাদাব ও নওয়াজ। তারা দু’জনে মিলে যোগ করেন ৬৪ রান।
শাদাব ও নওয়াজের জুটি ভাঙেন ডি লিড। ডানহাতি এই পেসারের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হন ৩২ রান করা শাদাব। দারুণ ব্যাটিং করা নওয়াজ করেছেন ৩৯ রান। শেষ দিকে হারিস রউফ ১৬ এবং শাহীন শাহ আফ্রিদির অপরাজিত ১৩ রানের পরও ২৮৬ রানে অল আউট হয়ে যায় পাকিস্তান। নেদারল্যান্ডসের হয়ে একাই চার উইকেট নেন ডি লিড। এছাড়াও অ্যাকারম্যান পান ২টি উইকেট এবং ১টি করে উইকেট নেন আরিয়ান দত্ত, লোগান ভ্যান বেক ও ভন মিকেরেন।
/আরআইএম
Leave a reply