টাইগারদের বোলিং তোপে ১৫৬ রানে গুটিয়ে গেলো আফগানরা

|

ছবি: সংগৃহীত

সাকিব আল হাসান ও মেহেদী মিরাজের স্পিন বিষে ১২ দশমিক ৪ ওভার বাকি থাকতেই ১৫৬ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। শুরুর দিকে আফগানদের দারুণ ব্যাটিংয়ের চাপ কাটিয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের লাগাম নিজেদের দখলে নেয় টাইগাররা। মাত্র ৪৪ রানে শেষের ৭ উইকেট তুলে নেয় সাকিবের দল। জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৫৭ রান।

শনিবার (৭ অক্টোবর) ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানের ব্যাটে ভালো সূচনা করে আফগানরা। ৯ম ওভারের দ্বিতীয় বলে ইব্রাহিমকে সাজঘরে ফিরিয়ে বাংলাদেশ দলকে প্রথম সাফল্য এনে দেন সাকিব আল হাসান। এরপর বাংলাদেশের পোস্টার বয়ের হাতধরে দ্বিতীয় সাফল্য পায় টাইগাররা। রহমত শাহকে প্যাভিলিয়নে পাঠান এ টাইগার অধিনায়ক।

সাকিবের করা অফ স্টাম্পের বাইরের ফ্লাইটেড ডেলিভারিতে সুইপ করতে গিয়েছিলেন জাদরান। তবে ব্যাটে-বলে না হলে বল চলে যায় স্কয়ার লেগে তানজিদ হাসান তামিমের হাতে। ফলে এবারের বিশ্বকাপে প্রথম উইকেটের স্বাদ পায় টাইগাররা।

দ্বিতীয় উইকেটে গুরবাজের সঙ্গে ৩৬ রানের জুটি গড়েন রহমত শাহ। ধীরে ধীরে ভয়ংকর হয়ে উঠছিল এই জুটি। তবে জুটিটা বড় হতে দেননি টাইগার দলপতি। ১৬তম ওভারে আবারও বল হাতে আসেন বাংলাদেশের পোস্টার বয়। সাকিবের করা ওই ওভারের প্রথম বলে টপ এজড হয়ে সিলি মিড অফে থাকা লিটন দাসের হাতে ধরা পড়েন। আর তাতেই ৮৩ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে আফগানদের। আউট হওয়ার আগে ২৫ বলে একটি চারে ১৮ রান করেন রহমত শাহ।

দুই উইকেট হারানোর পর আফগানদের হয়ে হাল ধরেন হাসমতউল্লাহ শহীদি ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ। শহীদিকে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। এই অফ স্পিনারের করা টসড আপ ডেলিভারিতে বড় শট খেলতে গিয়ে তাওহিদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন শহীদি। পরের ওভারে ৪৭ রান করা গুরবাজকে আউট করে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি এনে দেন মুস্তাফিজুর রহমান। সাকিব নিজের দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসেই ৫ রান করা নাজিবউল্লাহ জাদরানকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান।

পরের ওভারে মোহাম্মদ নবিকে বোল্ড করেছেন তাসকিন আহমেদ। তাসকিনের স্টাম্প বরাবর বল অফ সাইডে খেলতে চেয়েছিলেন নবি। তবে ব্যাটের কানায় লেগে বল আঘাত হানে লেগ স্টাম্পে। ১২ বলে ৬ রান করে ফেরেন এই অলরাউন্ডার। এরপর আফগানস্তানের লোয়ার অর্ডার গুঁড়িয়ে দিতে বড় অবদান রাখেন মিরাজ ও শরিফুল ইসলাম।

৯ রান করা রশিদ খানকে বোল্ড করেন মিরাজ। এরপর মুজিব উর রহমানকেও বোল্ড করেন তিনি। মাঝে আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে ২২ রানে ফেরান শরিফুল। শেষ ব্যাটার নাভিন উল হককে শূন্য রানে আউট করে আফগানিস্তানকে গুটিয়ে দেন বাঁহাতি পেসার শরিফুল।

বাংলাদেশের হয়ে ৩টি করে উইকেট শিকার করেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দু’টি উইকেট নেন শরীফুল ইসলাম। একটি করে উইকেট শিকার করেন মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply