নির্বাচনের আগে অনেক ষড়যন্ত্র হবে তবে কোনো কিছুতেই সংবিধান থেকে সরে আসার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সবার কথা বলার সমান সুযোগ রয়েছে। তবে কেউ যদি সমাবেশের নামে সহিংসতা করতে চায় তাহলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে।
শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রথম সভায় এমন মন্তব্য করেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।
জাতিসংঘে বিএনপি নেতাদের নালিশ এবং যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগসহ ডক্টর ইউনূসের মার্কিন তৎপরতারও সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
১৩৭ সদস্যের জাতীয় পরিচালনা কমিটির বিষয়ে সভার শুরুতেই কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ধারণা দেন কমিটি সদস্যদের নির্বাচনকালীন দায়িত্ব সম্পর্কে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জরিপ করেছি। জনসমর্থন কিন্তু আমাদের ব্যাপক।
নির্বাচন ইস্যুতে বিভিন্ন দলের সাম্প্রতিক অবস্থানের সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। বিএনপিকে শান্তিপূর্ণ কর্মূসূচির সুযোগ দিতে প্রশাসনের প্রতি নির্দেশ দেয়ার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দেন সহিংসতাসহ যেকোনো অপতৎপরতা মোকাবেলারও।
সদ্য ঘোষিত জাতীয় ঐক্যকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা মিথ্যে মিথ্যে বলে দিলো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আমরা সমাবেশের অনুমতি দেইনি। তারা বিভিন্ন আবেদন করেছে যাচাই বাছাই চলছে, পরে তারা আবার মহানগর নাট্য মঞ্চে করবে বলছে, তারা যদি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করতে, আমরা করতে দেবো।
জাতিসংঘে বিএনপি নেতাদের আলোচনার উদ্যোগ, দেশের বিরুদ্ধে ড. ইউনুসের মার্কিন তৎপরতা ও বিএনপির অপপ্রচার নিয়েও সমালোচনা করেন শেখ হাসিনা। বলেন, বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির যে অভিযোগ এনেছিল সেটি মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে। যারা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কী ব্যবস্থা নেয়া উচিত। এরা নিজেদেরও সর্বনাশ করে, দেশেরও সর্বনাশ করে।
কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা মন্ডলীর সব সদস্য ছাড়াও আওয়ামী লীগের ৭ সহযোগী সংগঠনের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক রয়েছেন ১৩৭ সদস্যের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply