রিমন রহমান:
বাংলাদেশি গার্মেন্টস পণ্যের অন্যতম বড় গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা বা জিএসপি বাতিল করার পরও দেশটির চাহিদায় আছে বাংলাদেশি গার্মেন্টস পণ্য। অবশ্য আগের তুলনায় নানা কারণে দেশটিতে কমছে পোশাক রফতানি।
আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম আট মাসে রফতানি কমার হার প্রায় ২২ ভাগ। বর্তমানে দেশটির বাজারে চীন ও ভিয়েতনামের পর তৃতীয় সর্বোচ্চ পোশাক রফতানি করে বাংলাদেশ। নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশটির সঙ্গে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। দেয়া হয়েছে ভিসা নিষেধাজ্ঞাও। প্রশ্ন হচ্ছে, ভিসা নিষেধাজ্ঞা রফতানির ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলবে?
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, নির্ভরযোগ্য আরেকটি বাজার তৈরি না হওয়া পর্যন্ত পোষাক রফতানিতে আমেরিকা স্যাংশনের সিদ্ধান্তে যাবে না। ইইউ ও আমেরিকার সাথে আমাদের রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে না। বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিতে যে ধস নেমেছে, সে সংকটটা আছে, এটি হয়তো আরও এক বছর আমাদের মোকাবেলা করতে হবে।
অন্যান্য দেশের চেয়ে তুলনামূলক কম দামে বাংলাদেশ থেকে পোশাক কেনে যুক্তরাষ্ট্র। তবে, পোশাক নেবার ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউভূক্ত বিভিন্ন দেশ।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, সামনে যেহেতু নির্বাচন, তা নিয়ে ক্রেতা ও মালিকদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা এলে অবশ্যই প্রভাব পড়বে। আমরা চাই, এ শব্দটা এখানে আর না আসুক। জনগণ ও ব্যবসায়ীর ক্ষতি না হোক।
অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা এলে সংকট তীব্র হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের গবেষণা পরিচালক খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বড় দেশ থেকে অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা এলে সেটা অন্যান্য বৃহৎ রাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। বাংলাদেশের অর্থনীতি দুর্বল ও ভঙ্গুর পরিস্থিতি অতিবাহিত করছে। এমন চাপ নেয়ার অবস্থায় নেই দেশের অর্থনীতি।
এদিকে, মানবাধিকার ও শ্রমমান ইস্যুতে সংস্কার উদ্যোগ বাস্তবায়নে আগে থেকেই চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ।
/এমএন
Leave a reply