গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের শিকার অসংখ্য শিশু

|

ছবি: সংগৃহীত।

ইসরায়েলি বর্বরতা থেকে রেহাই পাচ্ছে না ফিলিস্তিনের অবুঝ শিশুরাও। কয়েকদিনের নির্বিচার হামলায় ক্রমেই শিশু মৃত্যুর তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। প্রতিদিনই বাড়ছে আহতের সংখ্যা। জন্মের পর থেকেই যুদ্ধ-সংঘাতে বড় হওয়া গাজার নতুন প্রজন্ম আরও একবার মুখোমুখি ভয়াবহ আগ্রাসনের। খবর রয়টার্স।

আদরের সন্তান হারিয়ে দিশেহারা ফিলিস্তিনি এক মা। জানাজা শেষে চলছে দাফনের প্রস্তুতি। একটি-দুটি নয়, একসাথে দাফন করা হবে এক পরিবারের পাঁচ শিশুকে। যাদের সবারই মৃত্যু হয়েছে ইসরায়েলের হামলায়। গোটা পরিবারে তাই শোকের মাতম।

গাজার সন্তান হারা মা সাবরিন আবু ডাকা বলেন, বাড়িতেই ছিলাম এবং হঠাৎ শব্দ শুনতে পারি। এরপর দেখি সবকিছু ভেঙে পড়তে শুরু করে। আমার সন্তানেরা আমার কাছেই ছিলো। আমি সোফার নিচে লুকাই, তাই আমার তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। কিন্তু এরপর বারবার আমার সন্তানদের ডেকেও কোনো সাড়া পাচ্ছিলাম না। কয়েকঘণ্টা ধ্বংসস্তূপের ভেতর তাদের খুঁজি। তিনজনের মরদেহ পেয়েছি। এখনও নিখোঁজ একজন।

যারা এখনও বেঁচে আছে, আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের। বাড়ির আঙ্গিনায় খেলার কথা থাকলেও এই শিশুরা মা-বাবার সাথে প্রাণভয়ে ছুটছে নিরাপদ আশ্রয়ে। জন্মের পর থেকেই যুদ্ধ-সংঘাতকে সঙ্গী করেই বড় হতে হয় ফিলস্তিনি শিশুদের। তাইতো, বিশ্ব নেতাদের কাছে মায়েদের প্রশ্ন, নিষ্পাপ শিশুরা কেনো আগ্রাসনের লক্ষ্যবস্তু। কেনো তাদের নিরাপদে বড় হওয়ার অধিকার কেড়ে নেয়া হচ্ছে?

এ প্রসঙ্গে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি নারী উম্মাহ তাহির আহাজারি করে বলেন, আমাদের অপরাধ কী? আমার সন্তানেরা কী দোষ করেছে? খাবার নাই, বিদ্যুৎ নেই, পানি নেই? হামলায় আমার পুরো বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। বাড়িতে ছিলাম না তাই প্রাণে বেঁচে গেছি। এখন আমি কোথায় যাবো? কোথায় বিশ্ববাসীর বিবেক? কোথায় তাদের মানবতা?

অবশ্য আন্তর্জাতিক মহল বলছে, যুদ্ধে শিশু তো বটেই, বেসামরিক কোনো নাগরিককেও হত্যা যুদ্ধাপরাধের শামিল।

/এআই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply