মশা নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়ার পরও মানুষের মৃত্যু বেদনাদায়ক: তাজুল ইসলাম

|

ডেঙ্গুর প্রকোপে মানুষের মৃত্যুর বিষয়টিকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণের পরেও আক্রান্ত হয়ে মানুষের মৃত্যু দুঃখজনক। শুধুমাত্র ওষুধ ছিটিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।

বুধবার (১১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে বিশ্ব ব্যাংক আয়োজিত ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ: তথ্য ভাগাভাগি শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, এডিস মশা বাহিত রোগ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বছরের প্রথম থেকেই মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তুতি ও উদ্যোগের কোনো ঘাটতি ছিল না। আমাদের সমস্ত চেষ্টার পরও এ বছর ডেঙ্গুতে রেকর্ড সংখ্যক মানুষের মৃত্যু অত্যন্ত বেদনা ও পীড়াদায়ক। ডেঙ্গু রোগে একটি মৃত্যুও আমাদের কাম্য নয় কিন্তু আমাদের আর কোনো কিছু করার বাকি রয়েছে কিনা সেই বিষয়গুলো আলোচনা করার জন্যই বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় আমাদের আজকের এ কর্মশালা। এখানে উপস্থিত আমরা সবাই কেউ কারো প্রতিপক্ষ নই বরং আমরা একে অপরের অংশীদার।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এ সময় বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে প্রতিবছর মশা বাহিত বিভিন্ন রোগ যেমন ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া ও ম্যালেরিয়ায় সারা পৃথিবীতে সাত লক্ষ মানুষ মারা যায়। ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে আমাদের মতো দেশের জন্য মশাবাহিত রোগ মোকাবেলা করতে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। যদিও ১৯৬৪ সালে প্রথম ডেঙ্গু রোগ বাংলাদেশে আসে বলে তথ্যে জানানো হয়েছে কিন্তু এ রোগের ব্যাপকতা ২০১৯ সালে প্রথম আমরা দেখতে পাই। অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে এ বছর আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার আগের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে মশা প্রতিরোধে জনসচেতনতা ও জনগণের অংশগ্রহণই প্রধান বিষয়। মন্ত্রণালয় থেকে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে টিবিসি প্রচারসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সিটি কর্পোরেশন থেকে যেখানে এডিস মশার উৎসস্থল বা লার্ভা পাওয়া গেছে সেখানে জরিমানা করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, বছরের প্রথম থেকেই এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সিটি কর্পোরেশন গুলোর মশা মারার পর্যাপ্ত ওষুধ, যন্ত্রপাতি এবং লোকবল রয়েছে কিনা সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে যথাযথ সহযোগিতা করা হয়েছে। এখন জনসম্পৃক্ততা যতো বাড়ানো যাবে এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা যত শক্তিশালী হবে ততই এডিস মশার প্রজনন স্থল ও ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ হ্রাস পাবে।

এ কর্মশালায় গণমাধ্যমের প্রায় শতাধিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অপারেশন অফিসার ইফাত মাহমুদ এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আব্দুল্লায়ে সেক, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মলয় চৌধুরী এবং যুগ্ম সচিব ফারজানা মান্নান।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply