মারা গেলেন ১০৪ বছর বয়সী সেই ডরোথি হফনার। মাত্র এক সপ্তাহ আগেই যিনি স্কাইডাইভ দিয়েছিলেন প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার ফুট উঁচু থেকে। নাম লিখিয়েছিলেন গিনিস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের পাতায়। রোববার (৮ অক্টোবর) দিবাগত রাতে ঘুমের মধ্যেই মৃত্যু হয় ঐ নারীর। সোমবার সকালে, ঘুম থেকে তুলতে গিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় পান বৃদ্ধাশ্রমের কর্মীরা। শেষ ইচ্ছা পূরণ বোধহয় একেই বলে।
দারুণ স্কাইডাইভিং এর পর এতো দ্রুতই পরপারে চলে যাবেন এই ডেয়ারডেভিল, তা প্রত্যাশিত ছিলো না বলে জানান বৃদ্ধাশ্রমের এক নার্স। ব্রুকডেল লেক ভিউ সিনিয়র লিভিং কমিউনিটির নার্স জো কন্যান্ট বলেন, ডরোথি দাদী সবসসময় সক্রিয় থাকতেন। এতো বয়স্ক হওয়ার পরও তাকে কখনো বিকেলে ঘুমোতে দেখিনি। এমন কখনও হয়নি যে, একটি অনুষ্ঠান বা পার্টি হচ্ছে আর তিনি তাতে উপস্থিত নেই।
কন্যান্ট আরও বলেন, ভীষণ উচ্ছল আর প্রাণবন্ত একজন মানুষ ছিলেন দাদীমা। যে স্কাই ডাইভের কারণে তিনি আজ এতো পরিচিত, সে ডাইভটি কিন্তু তিনি কোনো রেকর্ড গড়ার জন্য দেননি। তিনি সত্যিই এতো উঁচু থেকে লাফিয়ে পড়ার থ্রিলটি উপভোগ করতে চেয়েছেন। সংখ্যা যে কেবলই একটি সংখ্যামাত্র, তা তিনি প্রমাণ করে গেছেন। তার মৃত্যুতে পুরো বৃদ্ধাশ্রম শোকাহত বলে জানান নার্স।
এদিকে, মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে হফনারের মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করেছে স্কাইডাইভ শিকাগো এবং যুক্তরাষ্ট্র প্যারাসুট অ্যাসোসিয়েশন।
১৯১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে জন্মগ্রহণ করেন ডরোথি। বলা যায়, শতবর্ষের ব্যবধানে তিনি স্প্যানিশ ফ্লু ও কোভিডের মতো দুটি বৈশ্বিক অতিমারি থেকে বেঁচে গেছেন। ২০১৮ সালে ১০ হাজার ফুট ওপর থেকে স্কাই ডাইভ করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর এই বাসিন্দা।
গত ১ অক্টোবর ১০৪ বছর বয়সে সাড়ে ১৩ হাজার ফুট ওপর থেকে দ্বিতীয়বারের মতো মাটিতে ঝাঁপ দেন ডরোথি। মাটিতে পা রেখেই বিস্মিত দর্শকদের উদ্দেশে ডরোথি বলেন, ‘বয়স একটি সংখ্যা ছাড়া কিছু নয়।’
/এএম
Leave a reply