সকালে কারাদণ্ড, দুপুরে জামিন, বিকেলে সাজা স্থগিত সেই বিচারকের

|

হাইকোর্টে বিচারক সোহেল রানা। ছবি: সংগৃহীত।

কুমিল্লার সাবেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেয়া কারাদণ্ড ও জরিমানার রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।

আদালত অবমাননার অভিযোগে বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকালে এই বিচারককে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। সাথে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে বিকেলে চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম কারাদণ্ড ও জরিমানার রায় স্থগিত করেন। একইসঙ্গে রায়ের বিরুদ্ধে সোহেল রানার আবেদন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়।

এর আগে, সকালে কারাদণ্ডের রায় দেয়ার তিন ঘণ্টা পর দুপুরে সোহেল রানাকে জামিন দেন হাইকোর্ট। সাজার বিরুদ্ধে আপিল করার শর্তে তাকে এক মাসের জামিন আদেশ দেন বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ। এই দুই বিচারপতির হাইকোর্ট বেঞ্চই সকালে সোহেল রানাকে সাজার আদেশ দেন। একইসঙ্গে এ বিচারককে সাত দিনের মধ্যে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন।

দেশে কোনো বিচারককে কারাদণ্ড দেয়ার এটিই প্রথম নজির। সোহেল রানার বিরুদ্ধে অভিযোগ, কুমিল্লার সিজেএম আদালতের বিচারক থাকা অবস্থায় হাইকোর্টের দেয়া স্থগিতাদেশ উপেক্ষা করে তিনি একটি মামলার অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছিলেন। এছাড়াও একই মামলায় হাইকোর্টের আদেশ উপেক্ষা করে তিনি একাধিক আদেশ দেন।

এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি হয়। আদালত অবমাননার রুলের পর গত ৩১ আগস্ট সোহেল রানা মামলাটির অভিযোগ গঠনের আদেশ প্রত্যাহার করেন।

আদালত অবমাননার রুলের পরিপ্রেক্ষিতে সোহেল রানা নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তবে তার ক্ষমাপ্রার্থনা গ্রহণ না করে হাইকোর্ট কারাদণ্ডের আদেশ দেন। বর্তমানে সোহেল রানা আইন মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত জেলা জজ হিসেবে সংযুক্ত আছেন।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply