আলমগীর হোসেন:
বিশ্ব মান দিবস আজ। পণ্য ও সেবার গুণগত মান নিশ্চিতে ১৯৭০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মান দিবস। সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে সারাবিশ্বের ১৭৭টি দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে দিনটি।
আন্তর্জাতিক মান সংস্থার (আইএসও) সদস্য দেশ হিসেবে বাংলাদেশে পণ্যের মান নির্ধারণে কাজ করে থাকে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউট (বিএসটিআই)। সনদ দেয়া হলেও পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ কতটা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন আছে ভোক্তা ও বিশ্লেষকদের। ভোক্তার অধিকার রক্ষায় সরকারি সংস্থাগুলোকে আরও তৎপর হবার কথা বললেন তারা।
বিএসটিআই বলছে, ভোক্তাপর্যায়ে পণ্যের মান নিশ্চিতে কাজ করছেন তারা। এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ২২২টি পণ্যের মান প্রণয়ন করেছে সংস্থাটি। এর মধ্যে ৬৩৯টি খাদ্য পণ্য। ২৭৩টি পণ্যের উৎপাদন ও বাজারজাত করণে বিএসটিআই থেকে সনদগ্রহণ বাধ্যতামূলক।
বিএসটিআই’র পরিচালক তাহের জামিল বলেন, জাতীয় মান সংস্থা হিসেবে বিএসটিআই পণ্যের মান নির্ধারণ করে। কিন্তু বিএসটিআই একা এ কাজটা করে না। ১২০০ এক্সপার্ট ৭৮টি টেকনিক্যাল কমিটির মাধ্যমে কাজ করছে। এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ২২২টি পণ্যের মান প্রণয়ন করো হয়েছে। এর মধ্যে জনগুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ২৭৩টি পণ্য বিএসটিআই’র সনদ ছাড়া বাজারজাত করা যাবে না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারে এমন অনেক পণ্য আছে। যাদের বিএসটিআই সনদ থাকলেও পণ্যের গুণগত মান ঠিক নেই। এসব ক্ষেত্রে তদারিক পর্যায়ে অনেক দুর্বলতা আছে বলেও মনে করেন তারা।
ভোক্তা সংগঠক ও বাজার বিশ্লেষক কাজী আব্দুল হান্নান বলেন, নির্ধারিত মান আছে কি না তা তদারকির দায়িত্ব বিএসটিআই’র। একবার সনদ নিয়ে প্রতিটি পণ্যের বাজারজাতে মান ও ওজন ঠিক রাখছে কি না এগুলো তদারকি করা হচ্ছে না।
যদিও বিএসটিআই বলছে, পণ্যের গুণগত মান রক্ষায় তৎপর তারা। উৎপাদন থেকে ভোক্তা প্রতিটি পর্যায়ে তদারকি করা হয় বলেও দাবি তাদের। তাহের জামিল বলেন, আমদের কর্মকর্তারা তদারকি করেন। তারা ল্যাবে এনে পরীক্ষা করেন। কোনো গাফিলতি ফেলে কিংবা এখন মান ঠিক নাই দেখলে লাইসেন্স স্থগিত করে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করি। কেউ যদি সার্টিফিকেট ছাড়া বিএসটিআই এর লোগো ব্যবহার করে পণ্য বাজারজাত করে, তখন সাথে সাথে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেই।
পণ্যে গুনগত মান নিশ্চিতে ভোক্তাপর্যায়েও সচেতনতা জরুরি বলেও মনে করে বিএসটিআই।
/এমএন
Leave a reply