ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে বড় মহারণ বলা হয় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচকে; অন্তত বাণিজ্যিকভাবে এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ম্যাচকে দারুণ গুরুত্ব দেয়া হয়ে থাকে। দুই দল মাঠে নামলে খেলোয়াড়, সমর্থক কিংবা সাবেক খেলোয়াড়দের মধ্যেও থাকে বাড়তি উত্তেজনা। কিন্তু বরবরই মতো এবারও বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে নড়বড়ে দেখা গেলো পাকিস্তানকে। বিশেষ করে ৩৬ রানে শেষ আট উইকেট হারিয়ে ১৯১ রানেই গুটিয়ে গেলো পাকিস্তান।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে মাঠে নামে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালোই শুরু করে পাকিস্তান। দুই ওপেনার ইমাম উল হক ও আবদুল্লাহ শফিক দেখেশুনেই খেলছিলেন। তবে অষ্টম ওভারের শেষ বলে মোহাম্মদ সিরাজের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন শফিক। তার বিদায়ে ভাঙ্গে ৪১ রানের জুটি। ফেরার আগে শফিক ২৪ বলে তিন চারে ২০ রান করেন।
শফিকের বিদায়ের পর ইমামের সঙ্গে জুটি গড়েন অধিনায়ক বাবর আজম। দলীয় ৭৩ রানের সময় ব্যক্তিগত ৩৬ রানে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইমাম। ৩৮ বলের ইনিংসটিতে তিনি ছয়টি চার মারেন। তার বিদায়ের পর শ্রীলঙ্কা ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মোহাম্মদ রিজওয়ানের সাথে দারুণ জুটি গড়েন অধিনায়ক বাবর। এই জুটিতে বড় সংগ্রহের দিকে এগুচ্ছিলো পাকিস্তান। ভালো জবাব দিচ্ছিলেন বাবর। তিনি তুলে নেন নিজের ২৯ তম ওয়ানডে অর্ধশতক। এর আগে, ১৮ দশমিক ৩ বলে দলীয় ১০০ রান পূর্ণ করে পাকিস্তান।
তবে ৫০ রান পূর্ণ হওয়ার পরই সিরাজের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন বাবর। ফেরার আগে রিজওয়ানের সঙ্গে তার জুটিতে আসে ৮২ রান। অধিনায়কের বিদায়ের পরই মূলত শুরু হয় পাকিস্তানের ব্যাটিং বিপর্যয়। ২৯ দশমিক ৪ বলে তিন উইকেটে ১৫৫ রান থেকে ১৯১ রানেই অলআউট পাকিস্তান। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৪২ দশমিক ৫ বলেই থামে পাকিস্তানের ইনিংস। রিজওয়ান এক রানের জন্য অর্ধশতক মিস করেছেন।
ভারতের পাঁচ বোলার উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, বুমরাহ, কুলদীপ যাদব ও সিরাজ দুইটি করে উইকেট শিকার করেছেন। তবে শার্দুল ঠাকুর কোনো উইকেট পাননি।
/এনকে
Leave a reply