তিনটি ভিন্ন ভিন্ন রাজনৈতিক দলের একই সংক্ষিপ্ত রূপ নিয়ে শুরু হয়েছে বিপত্তি। বিএসপি নামে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাচ্ছে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, বাংলাদেশ শ্রমজীবী পার্টি এবং বাংলাদেশ সনাতন পার্টি। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেয়েছে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি। বাকি দুটি দল নিবন্ধন না পেলেও অন্য দলের বিএসপি নাম ব্যবহার করা নিয়ে আপত্তি তুলেছে বাংলাদেশ শ্রমজীবী পার্টি। তবে তাদের আপত্তিকে অযৌক্তিক আখ্যা দিচ্ছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির নেতা কর্মীরা।
শ্রমজীবী পার্টির সভাপতি আব্দুল কাদের জিলানী এরইমধ্যে বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, একই নামে অন্য রাজনৈতিক দল থাকায় বিষয়টি সাংঘর্ষিক হচ্ছে। তাই আমরা বিএসপি নামটি আমাদের রাখার চেষ্টা করবো। প্রয়োজনে আমরা আইনি লড়াই করবো।
তবে নামের সংক্ষিপ্ত রূপটি মিলে যাওয়াকে এখন আর কোনো বড় সমস্যা নয় বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মুখপাত্র আজমাঈন আসরার। তিনি বলেন, বিএসপি নামে শুধুমাত্র তাদের দলই নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পাওয়ায় বাকি দুটি দল সেই নাম ব্যবহারের যৌক্তিকতা হারিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের শর্তসহ বাকি মানদণ্ডগুলো পূরণ করতে পেরেছে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি। বাকিরা সেই মানদণ্ড এখনও পূরণ করতেই পারেনি। তাই এটি নিয়ে নির্বাচন কমিশন এখন আর ভাববে না বলেও মনে করেন আজমাঈন আসরার।
বিএসপি শব্দ সংক্ষেপের আরেকটি দল বাংলাদেশ সনাতন পার্টি। এটির প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুমন কুমার। তিনি বলছেন, সংক্ষিপ্ত নাম মিলে যাওয়ায় বিভ্রান্তির সুযোগ রয়েছে। আমরা আগে কখনও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি বা বিএসপি নামে অন্যকোনো দলের নাম শুনিনি। এখন সমস্যা হচ্ছে, এটি নিয়ে আইনি কোনো বাধা নেই। তাই আমি মনে করি, এতে আপত্তি করাটাও আইনসিদ্ধ নয়।
নিবন্ধন না পেলেও বাংলাদেশ সনাতন পার্টি থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দলের সদস্যরা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে বলেও জানান তিনি। একই নামে অন্য দল থাকায় কোন ‘বিএসপি’র নেতা নির্বাচনে দাঁড়ালো, এটি নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে বলেও জানান অ্যাডভোকেট সুমন কুমার।
এসজেড/
Leave a reply