গত সপ্তাহে ইসরায়েলে হামাসের হামলা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। আধুনিক যুদ্ধ কৌশলের পাশাপাশি অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রও ব্যবহার করতে দেখা গেছে এই সংগঠনটিকে। তবে হামাস এতো অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র কোথায় পেলো তা নিয়ে বিশ্বজুড়েই চলছে তুমুল আলোচনা। এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে নতুন বিতর্ক। ইসরায়েলে চালানো অভিযানে হামাস যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বিভিন্ন অস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে দাবি করছে অনেকে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র হামাসের হাতে কীভাবে এলো? খবর ইনসাইডারের।
পশ্চিমাবিশ্ব বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের এসব আধুনিক অস্ত্র কীভাবে গেলো হামাসের হাতে তা নিয়ে এখন চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। অনেকের দাবি, ইউক্রেন যুদ্ধের ময়দান থেকে কালোবাজারির মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্র চলে গেছে। আর সেই অস্ত্রই ইসরায়েলে হামলার জন্য ব্যবহার করেছে স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনিরা। রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার অভিযোগ, যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সহায়তা হিসেবে ইউক্রেন যেসব অস্ত্র পাচ্ছে, কালোবাজারের মাধ্যমে সেগুলোই হামাসের কাছে যাচ্ছে।
দুর্নীতিবাজ ইউক্রেনীয়রা এসব বিক্রি করে ফায়দা লুটছে অভিযোগ করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ইউক্রেনে দুর্নীতির মাত্রা উদ্বেগজনকভাবে বেশি। কালোবাজারে দেশটি থেকে অস্ত্র বিক্রি হচ্ছে। অনেকই অস্ত্র কিনতে চায়। ইউক্রেনীয়দের অনেকেই পশ্চিমা অস্ত্র বিক্রিও করছে। আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে, কালোবাজারের মাধ্যমে ইউক্রেনের অস্ত্র মধ্যপ্রাচ্যে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, পাল্টা অভিযোগ তুলেছে কিয়েভও। দেশটির দাবি, রাশিয়াই হামাসকে অস্ত্র দিচ্ছে। কিয়েভ বলছে, তাদের গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধের ময়দান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অস্ত্র জব্দ করে সেগুলোই হামাসের কাছে সরবরাহ করছে মস্কো।
খোদ যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতেও চলছে এই অস্ত্র ইস্যুতে চর্চা। রিপাবকলিকান নেতা মারজোরি টেইলর গ্রিনি হামাসের ব্যবহৃত মার্কিন অস্ত্রের উৎস তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন।
এসজেড/
Leave a reply