ইসরায়েল-হামাসের চলমান সংঘাত নিয়ন্ত্রণে রাখতেই ভূমধ্যসাগরে মার্কিন রণতরী মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা জন কিরবি। রোববার (১৫ অক্টোবর) সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে এ তথ্য জানান তিনি।
জন কিরবি বলেন, সংঘাত বৃদ্ধি এবং ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনায় আমরা উদ্বিগ্ন। যুক্তরাষ্ট্র চায় না, ইরান বা হিজবুল্লাহ্’র মতো তৃতীয় কোনো পক্ষ মধ্যপ্রাচ্য সহিংসতায় নাক গলাক। এর ফলে, হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি লড়াই গতি হারাবে। সে কারণেই, ভূমধ্যসাগরে মার্কিন রণতরী ‘ইউএসএস গেরাল্ড আর ফোর্ড’ মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রণতরী মোতায়েনের মাধ্যমে আঞ্চলিক সন্ত্রাসীদের স্পষ্ট বার্তা দেয়াই যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য। দ্বিতীয় রণতরী ‘ইউএসএস ডোয়াইট আইজ্যান হাওয়ার’ এবং অন্যান্য জাহাজগুলোও শিগগিরই পৌঁছাবে ভূমধ্যসাগরে।
মূলত, গত কয়েকদিন ধরেই আলোচনায় রয়েছে মার্কিন রণতরী। ইরান ও লেবাননের অভিযোগ, ইসরায়েলকে সামরিক অভিযানে সহযোগিতার জন্যই যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু বরাবরই সেটি অস্বীকার করে আসছে বাইডেন প্রশাসন।এই নিন্দা-সমালোচনার মধ্যেই অঞ্চলটিতে দ্বিতীয় রণতরী মোতায়েনের ঘোষণা আসে। তাতে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে মুসলিম বিশ্ব।
যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে জড়াচ্ছে এমন প্রশ্নও উঠেছে। তবে এবার এ বিষয়টি স্পষ্ট করলো ওয়াশিংটন। জন কিরবি জানান, অঞ্চলটিতে তৃতীয় কোন শক্তি যেনো ছড়ি ঘোরাতে না পারে, সেজন্যেই এ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এসজেড/
Leave a reply