ফরিদপুরে জনবসিতপূর্ণ এলাকায় ভুবনেশ্বর নদে কুমিরের দেখা মিলেছে। এতে পাড়ের বাসিন্দাদের মাঝে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। কেউ বলছেন এই কুমির সংখ্যায় একটি, কেউ আবার বলছেন দু’টি কুমির দেখেছেন তারা। কুমির ধরে নিরাপদ স্থানে অবমুক্ত করার জন্য সেখানে এরই মধ্যে গিয়েছে খুলনা বন বিভাগের একটি দল। কিন্তু দিনভর অপেক্ষার পরও কুমিরের দেখা না মেলায় ফিরে যান তারা। আপাতত স্থানীয়দের নদে নামতে নিষেধ করেছে প্রশাসন।
মূলত ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার গাজিরটেক ইউনিয়নের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে পদ্মার এই শাখা নদ ভুবনেশ্বর। গত বুধবার ব্যাপারী ডাঙ্গী গ্রামে লোকমান মাতুব্বরের বাড়ির কাছের নদে একটি কুমির দেখতে পান বলে জানান স্থানীয়রা। এরপরই এলাকাবাসীকে সতর্ক করতে মাইকিং করা হয় মসজিদে।
পরে ওই কুমিরটিকে এক কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার তেলিডাঙ্গি এলাকার নদে দেখতে পান স্থানীয়রা। শনিবার কুমিরটি অবস্থান করছিল আরও দুই কিলোমিটার দূরে পাটপাশা এলাকায়। কুমিরটিকে দেখতে উৎসুক মানুষ ভিড় জমায় নদের তীরে। কারও কারও দাবি দুইটি কুমির দেখেছেন তারা।
স্থানীয়রা বলছেন, বড় কুমিরটি ৫-৬ হাতের মতো লম্বা। এ ছাড়া একটি বাচ্চা কুমিরকেও তারা দেখেছেন বলে দাবি করেছেন।
গোসলের পাশাপাশি দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে নদের পানি ব্যবহার করেন স্থানীয়রা। নদে কুমিরের দেখা মেলায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকাবাসীর মাঝে।
এই নদ থেকে কুমির উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে অবমুক্ত করতে গতকাল রোরবার ঘটনাস্থলে যায় খুলনা বনবিভাগের একটি দল। তবে দিনভর অপেক্ষার পরও কুমিরের দেখা পাননি তারা। এ নিয়ে খুলনার বন অধিদপ্তর মৎস্য বিশেষজ্ঞ মফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, যেভাবেই হোক, কুমিরটিকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি আমরা। ফলে দুই ইউনিয়নের মানুষ এই আতঙ্ক থেকে মুক্তি পাবে।
আপাতত এই এলাকায় নদে নামতে স্থানীয়দের নিষেধ করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
এসজেড/
Leave a reply