হামাসকে যেকোনো মূল্যে নিশ্চিহ্ন করতে হবে: বাইডেন

|

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

ফিলিস্তিনের প্রতিনিধি নয়, হামাস একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। সুতরাং যেকোনো মূল্যে হামাসকে নিশ্চিহ্ন করতেই হবে। রোববার (১৫ অক্টোবর) সিবিএস নিউজকে দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের পেরিয়ে গেছে এক সপ্তাহ। মার্কিন প্রশাসন নানা কূটনৈতিক তৎপরতা চালালেও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এতোদিন স্পষ্টভাবে জানাননি যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান। সেটি নিশ্চিতেই রোববার মুখোমুখি হন সিবিএস নিউজের ‘সিক্সটি মিনিটস’ অনুষ্ঠানে।

সাংবাদিক স্কট পেলির প্রশ্নের জবাবে জো বাইডেন জানান, হামাসকে নিশ্চিহ্ন করতেই হবে, এর কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অস্তিত্ব রাখতে হবে। ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য শান্তি আলোচনার প্রয়োজন। সর্বাত্মক অভিযানের মাধ্যমে গাজা দখল হবে ইসরায়েলের বড় ভুল। কারণ, উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদ ছড়াচ্ছে হামাস। তারা ফিলিস্তিনের প্রতিনিধি নয়।

হামাসের ঘাঁটি ধ্বংসের অজুহাতে হাজার-হাজার বেসামরিক গাজাবাসীকে হত্যা করছে ইসরায়েল। সেটারও সাফাই গান নেতানিয়াহুর পরম মিত্র বাইডেন। বলেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নিজেকে সুরক্ষিত রাখার অধিকার রয়েছে। হলোকাস্টের মতো নারকীয় হামলা চালানো হয়েছে। সুতরাং ইসরায়েল পাল্টা জবাব দেবে, এটাই স্বাভাবিক। হামাসই বরং কাপুরুষের মতো লুকিয়ে চালাচ্ছে অভিযান। বেসামরিক গাজাবাসীকে বানাচ্ছে মানবঢাল। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের সুরক্ষার পূর্ণ অধিকার রয়েছে ইসরায়েলের।

চলমান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িয়ে পড়ার কোনো সম্ভাবনা রয়েছে কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেন, মিত্র তেল আবিবের পাশেই থাকবে ওয়াশিংটন। তবে সরাসরি রণক্ষেত্রে নামার আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমার মনে হয় না, এই যুদ্ধে মার্কিন সেনা মোতায়েনের কোনো প্রয়োজন আছে। কারণ, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম। তাদের যা প্রয়োজন, সেসব সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে সহযোগিতা করবে যুক্তরাষ্ট্র।

সাক্ষাৎকারে বাইডেন আরও জানান, হামাসের হাতে জিম্মি মার্কিনীদের জীবিত উদ্ধারে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তার সরকার। কারণ, এটা বর্বরোচিত আচরণ। যারা নিকৃষ্ট এই ঘটনার সাথে জড়িত, তাদেরও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে বলতে চাই, সরকার বন্দিদের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। আমরা প্রিয়জনদের প্রতি সমব্যথী।

যুদ্ধে ইন্ধন যুগিয়েছে ইরান, এ ব্যাপারে কতোটা জানে যুক্তরাষ্ট্র? সরাসরি এই প্রশ্নের মুখে পড়েন বাইডেন। তিনি নিশ্চিত করেন, ঐতিহাসিকভাবে হামাস ও হিজবুল্লাহকে অস্ত্র সরবরাহ করে তেহরান। কিন্তু চলমান সংঘাতে দেশটির কোন সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলেনি।

মসনদে বসার পরই পৃথিবী নাড়িয়ে দেয় ২টি যুদ্ধ– ইউক্রেন-রাশিয়া ও হামাস-ইসরায়েল। তারপরও ক্ষমতায় ফেরার ব্যাপারে বাইডেন কতোটা আশাবাদী? এমন আক্রমণাত্মক প্রশ্ন করেন স্কট পেলি। বাইডেন জানান, এখনও শেষ হয়ে যায়নি সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিকের সম্ভাবনা। সেটাই হবে পররাষ্ট্র নীতিমালার ক্ষেত্রে তার সরকারের তুরুপের তাস।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply